অনুপ দাস: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জামিনে মুক্ত। হঠাত্ প্রেসার বেড়ে গেল! অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। পুলিসের সাহায্যে তাঁকে ভর্তি করতে হল হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ২ বছর জেলে ছিলেন নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল বিধায়ক, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত তিনিই। ২০২২ সালে মানিককে গ্রেফতার করে ইডি। রেহাই পাননি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও। ইডির তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেই মামলাতেই তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তদন্তে সাহায্য করতে হবে। আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তকারী অফিসারকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে। সাক্ষীর উপর প্রভাব খাটানো যাবে না। তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারবেন না।
আজ, বৃহস্পতিবার SIR-র প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল কৃষ্ণনগরে। সেই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন নদিয়ার জেলার তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরনোর সময় হঠাত্ অসুস্থ বোধ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করা হয় নাকাশিপাড়া থানায়। পুলিস-প্রশাসনের সাহায্যে বিধায়ককে ভর্তি করা হয় বেথুয়াডহরির একটি হাসপাতালে। তাঁর প্রেসার বেড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবারই SIR-র ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। কৃষ্ণনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বলছে দেড় কোটি লোকের নাম বাদ দিতে হবে। কারও নাম বাদ দিলে ধরনা দিয়ে বসে থাকব। যত ক্ষণ না নাম না-তুলবে তত ক্ষণ ধরনা দেব'। কমিশনকে নিশানা করে তাঁর আরও বক্তব্য, 'বিজেপির তাঁবেদারির জন্য আধার কার্ড চলবে? ইয়েস স্যর। বিজেপির আইটি সেলের তৈরি করা তালিকা দিয়ে ভোট করাবেন? যা ইচ্ছে করুন, কিছু করতে পারবেন না। রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না'।
আগে SIR ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৪ ডিসেম্বর। পরে সেই সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয় কমিশন। সেই বর্ধিত সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার। এরপর আর SIR-র ফর্ম জমা নেওয়া হবে না। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ ডিসেম্বর। কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৫৭ লাখ ১ হাজার ৫৪৮ ফর্ম সংগ্রহ করা যায়নি। তারমধ্যে মৃত ভোটার ২৪ লাখেরও বেশি। নিখোঁজ ভোটার ১১ লাখেরও বেশি। স্থানান্তরিত ভাটারের সংখ্যা ১৯ লাখেরও বেশি। রয়েছে প্রচুর ডুপ্লিকেট ভোটারও। ফলে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বহু ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।