মনোজ মণ্ডল: স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন একি কাণ্ড! শ্লীলতাহানির শিকার হতে হল ক্লাস এইটের ছাত্রীকে। অভিযুক্ত স্কুলেরই অস্থায়ী কর্মী। ঘটনাটি জানাজানি হতেই স্কুলে রীতিমতো ভাঙচুর চালাল অন্য় ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। মারধর করে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হল পুলিসের হাতে। তুমুল চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়।
জানা গিয়েছে, বনগাঁর গাড়াপোতা গার্লস হাইস্কুলে ছাত্রী নির্যাতিতা। স্কুলে এখন উঁচু ক্লাসের পরীক্ষা চলছে। পঠনপাঠন বন্ধ। নির্যাতিতার দাবি, দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে বই জমা দিতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, বান্ধবীদের চলে যেতে বলেন স্কুলের অস্থায়ী কর্মী সুপ্রভাত সাধু ওরফে ট্যুরে। এরপর ক্লাস এইটের ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। স্কুলে ভাঙচুর শুরু করেন অন্য ছাত্রীরা। স্কুলে ঢুকে অভিযুক্ত অশিক্ষক কর্মীচারীর উপর চড়াও হন তাঁরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগা থানার পুলিস। অভিযুক্তকে পুলিসের হাতে তুলে দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর আবার অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অবরোধ শুরু হয় বনগাঁ-বাগদা রাজ্য সড়কে।
এর আগে, মালদহের একটি স্কুলে ছাত্রীদের হেনস্থা, কুপ্রস্তাব, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছিল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ছাত্রীদের দাবি, প্রধানশিক্ষককে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েক করে ছাত্রীরাই। সমস্ত অভিযোগ অবশ্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, স্কুলটি মালদহের মানিকচকে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে। অভিযুক্ত ওই স্কুলের বাংলার শিক্ষক। এক-দু'দিন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি নানাভাবে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে চলেছেন তিনি। অভিযোগ, কখনও ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেন, তো কখনও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, বেশ কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। এমনকী, টিউশনিতে যেতেও রাজি হচ্ছে না তারা। গভীর চিন্তায় পড়ে যান অভিভাবকরা। কেন স্কুলে যেতে নারাজ ছাত্রীরা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে এই ঘটনা। ছাত্রীদের মুখ দিয়ে ঘটনা শুনে তাজ্জব অভিভাবকরা।
এদিকে প্রধান শিক্ষককে অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের রোষের মুখে পড়তে হয় প্রতিবাদী ছাত্রীদের। শেষে বেশ কয়েকজনকে যখন হুমকি দেওয়া হয়, তখন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছাত্রীদের অভিযোগ, 'দীর্ঘদিন ধরে আমরা শ্লীলতাহানির শিকার। আমাদের বাংলা শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের গায়ে হাত দেন। কুকথা বলেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দেন। দিন দিন ছাত্রীদের সঙ্গে স্যারের অসভ্যতা বেড়েই চলেছিল। ঘটনাটি প্রধান শিক্ষককে জানায়। কিন্তু জানিয়েও লাভ হয়নি। পাল্টা অভিযুক্ত শিক্ষক বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দেন। ক্লাসে সবার সামনে আমাকে ছোট করার চেষ্টা করেন। আমি ভূতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি চাই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।