সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিগোয় চূড়ান্ত অব্যবস্থা। এর কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে এত যাত্রীকে। বৃহস্পতিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। এ দিকে, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বিমান পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বৃহস্পতিবার উড়ান বাতিলে যাত্রীভোগান্তি অব্যাহত থাকল।
বিমান পরিষেবা বিপর্যয়ের জন্য ইন্ডিগোর দিকে আগেই আঙুল তুলেছিলেন বিমানমন্ত্রী। এও জানিয়েছিলেন, বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে, যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ বার মন্ত্রী বললেন, “চালক এবং অন্য বিমানকর্মীদের রস্টার নিয়ে কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল। নতুন নিয়মবিধি মেনে চললে এই সমস্যা এড়ানো যেত। পর পর বিমান বাতিলের এটাই কারণ।” মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, যা ঘটেছে, সবই ইন্ডিগোর জন্য।
শুধু ইন্ডিগো নয়, দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-কেও তদন্তের আওতায় আনা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিমানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, ইন্ডিগো বিপর্যয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে ডিজিসিএ, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি এ-ও স্পষ্ট করেন, প্রয়োজনে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে বরখাস্তও করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে! প্রসঙ্গত, ইন্ডিগো বিপর্যয়ের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের ভূমিকাও। অনেকেরই প্রশ্ন, কেন্দ্র কি আন্দাজ করতে পারেনি? বিপর্যয়ের শুরু থেকেই কেন পদক্ষেপ করা হল না? এই সব প্রশ্নের মধ্যেই দেশবাসী, বিশেষত ভোগান্তির শিকার হওয়া যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন নায়ডু।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার অন্তত ৬০টি উড়ান বাতিল হয়েছে। বুধবারও দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে মোট ২২০টি উড়ান বাতিল করেছিল বিমান সংস্থাটি। শুধু মাত্র দিল্লিতেই বাতিল হয়েছিল ১৩৭টি উড়ান। সেই তুলনায় বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও ইন্ডিগোর দাবি, মঙ্গলবার থেকেই তাদের কর্মক্ষমতা আবার আগের ছন্দে ফিরেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত তিন দিন ধরে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কিংবা প্রযুক্তিগত কারণ ছাড়া কোনও উড়ান শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়নি। একটি বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ৩,০০,০০০ যাত্রীকে নিয়ে ১,৯৫০টিরও বেশি উড়ান পরিচালনা করা হবে।