• মিটছে না কোন্দল! কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলে নতুন রাজ্যের দাবি কর্নাটকের বিধায়কের
    প্রতিদিন | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্যা কাটছেনা কংগ্রেসের অন্দরে। কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে সমস্যা মিটতেই এবার বেসুরো আরেক মন্ত্রী। নিজের দলের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে, কংগ্রেস বিধায়ক রাজু কেগ উত্তর কর্নাটকের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী অবহেলা এবং বৈষম্যের বিষয়টি সামনে এনেছেন। তাঁর দাবি, এই অঞ্চলটির সমস্যা কমছে না। সেই কারণেই একটি পৃথক উত্তর কর্ণাটক রাজ্যই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বেলাগাভিতে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে কেগ এই কথা বলেন।

    বেলাগাভিতে একটি পূর্ণাঙ্গ সচিবালয় নির্মাণের সময় মনে করা হয় সেখানে অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনগুলিতে এই অঞ্চলের সমস্যাগুলির উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উত্তর কর্ণাটকের জনগণের কাছে আরও কাছে পৌঁছাতে সাহাজ্য করবে। যদিও, আঞ্চলিক সাম্যের প্রতীক হিসেবে নির্মিত এই ভবনের অন্দরেই কেগ বলেন এই ধারণার বাস্তবায়ন হয়নি। দুর্বল প্রশাসন এবং কাজে বিলম্বের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ উন্নয়নমূলক কাজেও অকারণে বেশি সময় লাগছে। তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকায় একটি কাজ করতে দুই থেকে চার বছর সময় লাগছে। এমনকি সামান্য কাজের পরিবর্তনের জন্যও, জেলা প্রশাসন থেকে বেঙ্গালুরুতে ফাইল নিয়ে যাওয়া এবং অনুমোদন পেতে প্রায় দু’বছর সময় লাগছে। আমরা যে কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি তা দেখে মনে হচ্ছে যে পরবর্তী বিধায়ক আসার পরেই সেগুলি শেষ হবে।”

    তিনি উত্তর কর্ণাটকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “উত্তর কর্ণাটকের মানুষ কী ভুল করেছে?” তাঁর দীর্ঘদিনের অবস্থান ফের সকলের সামনে তুলে ধরে কেগ বলেন, তিনি বিরোধীতা থাকলেও পৃথক উত্তর কর্ণাটক রাজ্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “এই কারণেই আমি একটি পৃথক রাজ্য দাবি করেছি। এমনকি ২২৪ জন বিধায়ক বা যেকোনও সংগঠন বিরোধিতা করলেও, আমি একটি পৃথক উত্তর কর্ণাটক রাজ্যের দাবি চালিয়ে যাব। আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত, আমি এর জন্য লড়াই করব। আমরা এত সমস্যার মুখোমুখি, আমরা কাকে বলব?”

    কেগের মন্তব্য কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বিতর্ককে আরও তীব্র করবে বলে বলে করা হচ্ছে। আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তাঁদের নিজেদের দলের বিধায়ক। তাই দলের অন্দরের অন্যান্য সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধানের আগেই এই নতুন সমস্যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলবে শাসকদলকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)