পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবহণ চালু করার বিষয়ে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। এ বার দেশে চালু করা হলো হাইড্রোজেন-চালিত ওয়াটার ট্যাক্সি (hydrogen-powered water taxi)। বারাণসীতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়াটার ট্যাক্সি চালু করা হয়। নমো ঘাট থেকে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এর মাধ্যমে নৌ-পরিবহণে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করা হলো বলে মনে করছে কেন্দ্র। কী ভাবে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তা নিয়েও গবেষণা এবং কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জলপথ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোচিন শিপইয়ার্ডে তৈরি এই আধুনিক নৌ-যানে রয়েছে হাইব্রিড ইলেকট্রিক-হাইড্রোজেন ইঞ্জিন । এর ফলে বায়ু দূষণ এবং শব্দ দূষণ দুই-ই কমবে। এই ওয়াটার ট্যাক্সিতে নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও সিসিটিভি নজরদারি বায়ো-টয়লেট-সহ যাত্রীদের জন্য আধুনিক নিরাপত্তা ও আরামের যাবতীয় সুবিধা আছে বলেও জানানো হয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ওয়াটার ট্যাক্সি আপাতত নমো ঘাট ও রবিদাস ঘাটের মধ্যে পরিষেবা দেবে। পরে অসি ঘাট এবং মার্কণ্ডেয় ধামকে এর সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ওয়াটার ট্যাক্সির এক সঙ্গে ৫০ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। আপতত তা দিনে ৭ থেকে ৮টি ট্রিপ দেবে।
ভাড়া কত?
এই ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাত্রী প্রতি ভাড়া রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা। এখনও পর্যন্ত বয়স্ক, পড়ুয়া বা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা করে কোনও ছাড় ঘোষণা করা হয়নি।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জলসা ক্রুজ লাইন-এর মতো স্থানীয় অপারেটরদের মাধ্যমে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে টিকিট বুক করা যাবে। অনলাইন পেমেন্টের পর পাওয়া কনফার্মেশন মেসেজ টিকিট দেখাতে হবে কাউন্টারে। এছাড়া ঘাটে থাকা কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
কখন চলবে?
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে এই ভেসেল। প্রতি দেড় থেকে ২ ঘণ্টা অন্তর এই পরিষেবা দেওয়া হবে।
বোর্ডিং পয়েন্ট
এখন নমো ঘাট ও রবিদাস ঘাট থেকে যাত্রীরা উঠতে পারবেন। ভবিষ্যতে এর সঙ্গে যুক্ত হবে অসি ঘাট এবং মার্কণ্ডেয় ধাম।