• সংসদের মধ্যে ধূমপান! তুমুল বিবাদ তৃণমূল-বিজেপির
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদে সিগারেট খাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার তুমুল বিবাদ তৃণমূল-বিজেপির। এদিন সকালে লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে আচমকাই বিজেপি সাংসদ অনুরাগ সিং ঠাকুর বিষয়টি উত্থাপন করেন। তৃণমূল বেঞ্চের দিকে দেখিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা, আপনি কি সংসদের মধ্যে ধূমপানের অনুমতি দিয়েছেন নাকি? ই-সিগারেট নিষিদ্ধ। তাও এখানে বসে তৃণমূলের সাংসদ সিগারেট খাচ্ছেন।’ যদিও কে সেই তৃণমূল সাংসদ, তা সরাসরি নামোল্লেখ করেননি অনুরাগ। স্পিকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ‘কাউকেই সদনে বসে ধূমপানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আপনার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।’ 

    আর এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের সাংসদরা কেউ নাম বলতে চাইছেন না। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করারও কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছেন দলীয় সাংসদরা। তবে অনুরাগ পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় সাংসদ। লোকসভায় তো ক্যামেরা আছে। পরীক্ষা করে দেখলেই তো স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ লোকসভায় তৃণমূলের তিনজন খেলোয়াড়-সাংসদ রয়েছেন। কীর্তি আজাদ, ইউসুফ পাঠান এবং প্রসূণ ব঩ন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে শেষের দুজন ধূমপান করেন না। 

    এই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই লোকসভার কক্ষ থেকে বেরিয়ে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরান সৌগত রায়। যা দেখে কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আর গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত প্রতিবাদ করেন। বলেন, ‘আরে দাদা, আপনি এখানে সিগারেট খাচ্ছেন? এখানে ধূমপান নিষেধ। আপনি নিজের তো বটেই, অন্যদেরও স্বাস্থ্যহানি করছেন।’ যা শুনে সৌগত রায়ও পালটা বলেন, ‘সংসদের মধ্যে ধূমপান মানা। কেউ করে থাকলে অন্যায় করেছে। তবে খোলা আকাশের নীচে ধূমপান করাই যায়। আর আমাকে বলছেন? আপনারা মানে বিজেপি রাজধানী দিল্লির বাতাস যে পরিমাণ দূষিত করে রেখেছেন, তা সিগারেটের চেয়ে কয়েকশো গুণ বেশি ক্ষতিকর। তার কী হবে?’ গিরিরাজ সিংকে সৌগতবাবুর কটাক্ষ, ‘আমি তো সিগারেট খাই। আর আপনি যে খৈনি খান!’
  • Link to this news (বর্তমান)