• এক দেশ এক ভোট: রিপোর্ট পেশ করতে পারল না সংসদীয় কমিটি
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এক বছর হতে চলল। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধন বিলের সংসদীয় কমিটি লোকসভায় রিপোর্টই পেশ করতে পারল না। উল্টে রিপোর্ট পেশের জন্য ফের চেয়ে নেওয়া হল সময়। এই নিয়ে তিনবার। আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথমদিনে রিপোর্ট পেশ করার অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার আবেদন করেন কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি সাংসদ পি পি চৌধুরী। সেই আর্জি মঞ্জুর হয়। 

    কমিটিতে বিশিষ্টদের বক্তব্য জানতেই সময় চাওয়া হল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে যেমন ডাকা হবে, একইভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, বিশিষ্ট আইনজীবীদেরও মতামত নেওয়া হবে। সেই মতো শীঘ্রই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং আ‌ইনজীবী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদম্বরমকে ডাকা হবে বলেই বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    বুধবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, বিরোধীরা যতই বিরোধিতা করুক, আমরা ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ করেই ছাড়ব। বিরোধীরা যত বিরোধ করবে, ততই ঩জিতব। যদিও সেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ অর্থাৎ একইসঙ্গে লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট করানোর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সরকার সংসদে পেশও করেছে ১২৯ তম সংবিধান সংশোধন বিল। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর পেশ হয়েছিল বিল। ভোটাভুটিতে এনডিএ পেয়েছিল ২৬৯। বিরোধীরা ১৯৮। ফলে সেদিনই এই বিলে সরকারের হার হয়েছে বলে আত্মবিশ্বাস মজবুত হয়েছিল বিরোধীদের। কারণ, বিজেপি বিরোধী সব দলই একইসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোটের বিপক্ষে। উল্লেখ্য, সংবিধান সংশোধন বিল পাশ করতে হলে সাধারণত সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। ফলে লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে পেতে হত ৩৬২। কিন্তু মোদি সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছিল কম। তাই সংশোধন বিলটি পেশ করেই পাঠানো হয় সংসদীয় যৌথ কমিটিতে। ৩৯ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন লোকসভার ২৭ জন ও রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদ। গত এক বছর দফায় দফায় চলছে বৈঠক। মতামত নেওয়া হচ্ছে বিশিষ্টদের। কমিটির চেয়ারম্যান পি পি চৌধুরী বলেন, আসলে নানা ক্ষেত্রের মতামত নিয়েই হবে রিপোর্ট। তাই সময় লাগছে।
  • Link to this news (বর্তমান)