• যাত্রীদের ‘ক্ষতে’ প্রলেপ দিতেই ১০ হাজার টাকা ভাউচার ঘোষণা, ইন্ডিগোকেই দোষারোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: একের পর এক উড়ান বাতিল। দেশজুড়ে চরম যাত্রী হয়রানি। এয়ারপোর্টে এয়ারপোর্টে বিশৃঙ্খলার ছবি। গত দশদিন ধরে ইন্ডিগোর বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ গোটা দেশজুড়ে। বেহাল উড়ান পরিষেবা নিয়ে আগেই ক্ষমা চেয়েছিলেন ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স। এবার ডিজিসিএ-র দপ্তরে হাজিরা দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার ফের তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তবে তার আগেই উড়ান পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে ‘ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ যাত্রীদের ক্ষতিপূরণে ১০ হাজার টাকার ভাউচারের ঘোষণা করল ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। 

    ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর যেসব যাত্রীদের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হয়েছে। ওই যাত্রীদের ক্ষতে প্রলেপ দিতে সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের ১০ হাজার টাকার ভাউচার দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আগামী ১২ মাসে  ইন্ডিগোর যে কোনও উড়ানে এই ভাউচার ব্যবহার করা যাবে।’ তবে ‘ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে, তা বিস্তারিত জানায়নি বিমান সংস্থাটি। তবে তারা জানিয়েছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া ক্ষতিপূরণের সঙ্গে এই ভাউচার অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হবে। এদিনও ১৩৮টি ইন্ডিগোর উড়ান বাতিল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বেঙ্গালুরুতে। দক্ষিণের এই শহর থেকে বাতিল হয়েছে ৬১টি উড়ান। এদিকে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সের অসামরিক বিমানমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডুর সামনে হাতজোড় করে বসে থাকার ছবি নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘শুধু আমার কাছে নয়, গোটা দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য উনি হাতজোড় করেছিলেন।’ দেশজুড়ে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে এলবার্সকে তলব করেছিল অসামরিক বিমান মন্ত্রক। অন্যদিকে, ইন্ডিগোর যাবতীয় পরিষেবার উপর নজর রাখছে ডিজিসিএ। গড়া হয়েছে ৮ জনের পর্যবেক্ষক দল। ক্যাপ্টেন বিক্রম শর্মার নেতৃত্বাধীন এই দলের আধিকারিকরা ইন্ডিগোর গুরুগ্রামের অফিসে মোতায়েন থাকবে। উড়ান পরিষেবা থেকে রিফান্ড স্ট্যাটাস সহ যাবতীয় বিষয়ে নজর রাখবে ওই দল। এবার সরাসরি উড়ান সংস্থার উপর দোষ চাপালেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু। তাঁর বক্তব্য, ‘শুধুমাত্র ইন্ডিগোর তরফে চরম অব্যবস্থার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা আর ওদের কথায় ভরসা করছি না। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতো করে তদন্ত করছি।’ এই বিপর্যয়ের সূত্রেই বারবার  বিমান পরিবহণ সেক্টরে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার একাধিপত্য খাটিয়ে সুযোগ নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রীর সাফ জবাব, এই পরিস্থিতি বদলাতে আমাদের কমপক্ষে পাঁচটি উড়ান সংস্থা প্রয়োজন। প্রত্যেকের কাছে যেন ১০০টি করে বিমান থাকে। 
  • Link to this news (বর্তমান)