দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাদ যাচ্ছে সাড়ে সাত লক্ষ ভোটারের নাম!
বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইনিউমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া শেষ হল বৃহস্পতিবার। বিভিন্ন বুথে বিএলও’রা ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক ভোটারকেই পাননি। কেউ আবার মারা গিয়েছেন। এসব ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই সংখ্যাটি সাড়ে সাত লক্ষ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ জেলার প্রায় ৮৬ লক্ষ ভোটারের মধ্যে বাদ যেতে চলেছে প্রায় ৯ শতাংশ ভোটার। যার মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এসআইআরের প্রক্রিয়া শুরু হতেই ভোটার তালিকা থেকে কাদের নাম বাদ যাবে সেই প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়। তালিকা ধরে ধরে মৃত, স্থানান্তরিত এবং যাঁদের ফর্ম দেওয়া যায়নি সেরকম ব্যক্তিদের নাম চিহ্নিত করা হয়। প্রতিদিনই এই সংখ্যাটি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। শেষমেশ সংখ্যাটা পৌঁছল সাড়ে সাত লক্ষে।
এতদিন ধরে এদের প্রত্যেকেরই নাম ২০২৫ সালের ভোটার লিস্টে ছিল। কলকাতার মধ্যে পড়লেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নির্বাচনী জেলার অধীনস্থ কসবা, যাদবপুর বেহালা পূর্ব ও পশ্চিম থেকে সর্বাধিক ভোটারের নাম বাদ যেতে চলেছে। এই চার বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রায় ৫০ হাজার করে নাম মুছে ফেলা হবে। এবার প্রশ্ন হল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ঠিক কতজনকে শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে? জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তিন লক্ষাধিক ভোটারের ম্যাপিং করা যায়নি। ফলে এদের হিয়ারিং হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। এর বাইরে যেসব ফর্ম নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে তাদেরও ডাকা হবে শুনানিতে। সেই সংখ্যাটি এখনও সম্পূর্ণভাবে স্থির হয়নি। বিভিন্ন বিধানসভার ইআরও এবং এইআরও ফর্মগুলি খতিয়ে দেখে সেই তালিকা বানাবেন। তবে অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে চার লক্ষের মতো ভোটারকে ডাকা হতে পারে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ফের ফলতায় ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে গেলেন জেলার পর্যবেক্ষক সি মুরুগান। এর আগে মাসের শুরুতে একবার এই সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছিল বিডিও অফিসে। পর্যবেক্ষক যখন বাড়ি বাড়ি তথ্য পরীক্ষা করছিলেন, তখন এক জায়গায় মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। পর্যবেক্ষককে কেন্দ্রের প্রতিনিধি ভেবে তাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। যদিও তাঁরা পরে বুঝতে পারেন যে, যিনি এসেছেন তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি। এদিন একাধিক বাড়িতে গিয়ে ফর্ম ধরে ধরে যাচাই করেন মুরুগান। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কী পেলাম না পেলাম সেটা নির্বাচন কমিশনকে বলব।