• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গোলা সহ ৪৪০০ বস্তু নিয়ে মহেশতলায় ই-মালখানা
    বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: বহু বছর আগে মহেশতলা থানা এলাকার একটি জায়গাতে মাটি খনন করে পাওয়া গিয়েছিল কামানের গোলা। অনেকে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এই গোলা। উদ্ধারের পর তা ঠাঁই পায় মহেশতলা থানার মালখানাতে। এতদিন তা আগোছালো অবস্থায়, অযত্নে, নোংরা মালখানা ঘরের ভিতর পড়েছিল। বৃহস্পতিবার থানার ভিতর তৈরি ঝকঝকে-চকচকে নতুন ই মালখানা ঘরে যত্ন করে রাখা হল গোলাটিকে।

    শুধু তাই নয়, মোটা সুন্দর কাগজের প্যাকেটে গোলাটিকে মুড়ে তার গায়ে কিউআর কোড বসানো হল। ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই গোলাটির বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে। কত বছর আগে সেটি পাওয়া গিয়েছিল, কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি। পাশাপাশি এই কেসের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারের নামও জানা যাবে। প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে এমন আরও মূল্যবান জিনিস মহেশতলার মালখানাতে আছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে থানার একাধিক কেসে বাজেয়াপ্ত প্রচুর জিনিসও মালখানায় রয়েছে। সব মিলিয়ে যার সংখ্যা ৪ হাজার ৪০০। প্রতিটি জিনিস আলাদা কাগজের প্যাকেটে মুড়ে তার গায়ে কিউআর কোড বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মহেশতলা থানার এই নতুন ই মালখানার উদ্বোধন করলেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার সুপার বিশপ সরকার। সঙ্গে ছিলেন মহেশতলার এসডিপিও এবং থানার আইসি। পুলিস সুপার বলেন, এতদিন মালখানা বলতে নোংরা আবর্জনার স্তূপ বোঝাতো। শুধু তাই নয়, আদালতে ট্রায়াল চলার সময় বিচারক কোনও মামলার সঙ্গে যুক্ত কোনও জিনিস দেখতে চাইলে, তা বের করতে কালঘাম ছুটে যেত। কারণ মালখানায় কোনও জিনিস গোছানো থাকত না। ই মালখানায় এটা হবে না। আলাদা করে তা রাখা হয়েছে বছর অনুসারে। কিউআর কোড দিয়ে বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে। পাশাপাশি ই মালখানা এতটাই সুন্দর ও পরিষ্কার যে, এখানে বসে খাওয়াও যায়। আমি এদিন খেয়েছি। মগরাহাট থানায় এটা প্রথম হয়েছিল। এবার মহেশতলা থানায় হল। এরপর ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার প্রতিটি থানায় হবে। মালখানাকে সুন্দর করে গোছানোর জন্য মহেশতলার থানার পুলিসকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
  • Link to this news (বর্তমান)