নৈহাটির গৌরীপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে যুবককে বেধড়ক মারধর
বর্তমান | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বৃহস্পতিবার নৈহাটির গৌরীপুরে কয়েকজন যুবকের মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে এলাকা রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ উঠেছে, প্রিন্স যাদব নামে এক যুবককে রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এরপর প্রথমে তাঁকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি এই গৌরীপুরেই তৃণমূলকর্মী সন্তোষ যাদবকে প্রকাশ্যে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গৌরীপুরে তৃণমূল অফিসের সামনে স্থানীয় কয়েকজনের মধ্যে বচসা বাঁধে। দুই পক্ষের অশান্তি গড়ায় মারধরে। অভিযোগ, প্রিন্স নামে এলাকারই এক তৃণমূল কর্মীকে মারতে মারতে তৃণমূলের কার্যালয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাঁরা মারধরের সঙ্গে যুক্ত, তারাও তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। এ প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে বলেন দলীয় কার্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। প্রিন্সকে অত্যন্ত নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। অন্যদিকে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, নিজেদের অন্তর্কলহকে দলীয় কার্যালয়ে টেনে আনাটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। পারস্পরিক আক্রোশের জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ে এই ঘটনায় দল নিশ্চয়ই কড়া পদক্ষেপ করবে। এদিকে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী প্রিন্স হাসপাতাল যাওয়ার পথে বলেন, পুজো দিয়ে বাইকে করে ফেরার পথে পার্টি অফিসের সামনে কয়েকজন আমার পথ আটকায়। রড, লাঠি, উইকেট দিয়ে মারতে থাকে। প্রিন্সের অভিযোগ, তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে নৈহাটি, শিবদাসপুর ও জেঠিয়া থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই এলাকায় পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই চারজনকে আটক করা হয়েছে। বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (উত্তর) গণেশ বিশ্বাস জানান, কে বা কারা এই হামলায় জড়িত, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।