• রাতারাতি বড়লোক হওয়ার চেষ্টায়, কালা জাদুর ফাঁদে পড়ে ছত্তিসগড়ে তিন জনের মৃত্যুর অভিযোগ
    এই সময় | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রাতারাতি বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিন জন। ৫ লক্ষ টাকাকে ৫০ গুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল তাঁদের। আর এই বড়লোক হওয়ার জন্য শর্টকাট রাস্তা ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। অভিযোগ, ‘কালা জাদু’-র ফাঁদে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই তিন জনের। ছত্তিসগড়ের কোরবা জেলার ঘটনা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কালা জাদু প্রক্রিয়া করার সময়েই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। মৃতদের নাম মহম্মদ আসরাফ মেমন, সুরেশ সাউ এবং নীতীশ কুমার। আসরাফ এবং সুরেশ তুলসীনগর এলাকার এবং নীতীশ কুমার দুর্গ-এর বাসিন্দা। তিন জনের ছাঁট মালের ব্যবসা করতেন। উরগা থানার বরবাসপুরের একটি স্ক্র্যাপইয়ার্ডের ভেতরের একটি ঘর থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। বুধবার গভীর রাতে তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের মতে, বিলাসপুরের স্বঘোষিত তান্ত্রিক রাজেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে একটি আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিন জন ব্যক্তি সম্মত হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজেন্দ্র কুমার দাবি করেছিলেন যে তিনি ওই আচার এবং কালা জাদুর মাধ্যমে তিনি ৫ লক্ষ টাকাকে আড়াই কোটি টাকায় রূপান্তর করতে পারবেন। বুধবার রাতেই কোরবা এলাকায় তাঁর তিন সহযোগীকে নিয়ে চলেও আসেন রাজেন্দ্র।

    পুলিশ জানিয়েছে, কোরবা জেলার কুদরি গ্রামে আসরাফের একটি ঘরে ওই কালা জাদুর প্রক্রিয়া শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ওই তিন জনকে একে একে আলাদা একটি ঘরে নিয়ে যান রাজেন্দ্র। তাঁদের হাতে লেবু দিয়ে চার পাশে দড়ি দিয়ে ঘিরেও দেওয়া হয়। এর পরেই তালা মেরে দেওয়া ওই ঘরে। তিন জনকে জানানো হয়েছিল যে এক ঘন্টার মধ্যে দরজা খুলে দেওয়া হবে। পরে দরজা খুলে তিন জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁদের সঙ্গীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ওই তান্ত্রিক-সহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘর থেকে পুজোর সামগ্রী, লেবু, দড়ি ছাড়াও নগদ টাকা উদ্ধার করাও হয়েছে। মৃতদের দেহে আঘাতের এবং শ্বাসরোধ করার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। অন্য দিকে, ওই তিন জনকে বিষাক্ত কিছু দেওয়া হয় বলেও সন্দেহ পুলিশের। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোরবার পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ তিওয়ারি।

  • Link to this news (এই সময়)