• বনগাঁর একটি স্কুলে ভাঙচুরে ধৃত বিজেপি নেতা-সহ ৯
    এই সময় | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, বনগাঁ: বনগাঁর একটি স্কুলে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত সুপ্রভাত সাধু ওরফে টুরেকে ঘটনার পরেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তার পরেও রাস্তা অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে এ দিন নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি কল্লোল দাসও রয়েছেন। বাকিদের নাম শিবরঞ্জন ঘোষাল (৩২), সাদ্দাম মণ্ডল (২৭), মৈনাক বিশ্বাস (২৫), সন্দীপ হালদার (৩২), উৎপল পাল (৩৫), গৌরব বিশ্বাস (২৩), আসমাত আলি মণ্ডল (৩২) এবং আফসানা মণ্ডল (২৬)।

    ধৃতদের বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বনগাঁর ওই মেয়েদের স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে স্কুলের অস্থায়ী কর্মী সুপ্রভাত সাধুর বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিযুক্তকে ধরে গণপিটুনি দেয় ক্ষুব্ধ ছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এর পরেও অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে পড়ুয়া ও স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে। শুরু হয় স্কুলে ভাঙচুর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, গালিগালাজ।

    বুধবার দুপুর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভ, ভাঙচুরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। অঅভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মিশে ভাঙচুর ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি কল্লোল দাস। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং নিজেদের সোর্সকে কাজে লাগিয়ে অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে বিজেপি নেতা কল্লোল-সহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    বনগাঁ থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃত বিজেপি নেতা কল্লোল দাস বলেন, 'আমি বিক্ষোভ, অবরোধে থেকে স্লোগান দিয়েছিলাম। এর জন্য পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।' বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, 'অবরোধ তুলতে যারা সাহায্য করেছে, তাদেরই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।' তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বিজেপির উস্কানিতেই স্কুলে ভাঙচুর করা হয়।'

  • Link to this news (এই সময়)