• বিদেশে পালিয়েও লাভ হলো না! গোয়ার নাইটক্লাবের মালিক ‘লুথরা ব্রাদার্স’-কে শীঘ্রই ফেরানো হবে ভারতে
    এই সময় | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • গোয়ায় নাইট ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পরেই থাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। কিন্তু বিদেশে পালিয়ে গিয়েও লাভ হলো না। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের তরফে করা হয়েছিল পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই তাঁদের থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ভারতের অনুরোধের ভিত্তিতে তাঁদের ইতিমধ্যেই ফুকেট থেকে আটক করেছেন থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে ব্যাঙ্ককে। সেখানকার সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে নামার পরে তাঁদের ভারতীয় আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে, প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই। ভারতে ফিরিয়ে আনার পরে তাঁদের বিরুদ্ধে গোয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

    ইতিমধ্যেই তাঁদের পাসপোর্ট সাসপেন্ড করে দিয়েছিল দিল্লি। এর ফলে তাঁদের পাসপোর্ট অবৈধ বলে বিবেচিত হয় থাইল্যান্ডে। তার পরেই তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের হাতকড়া পরানো ছবি প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।

    ভারতীয় আধিকারিক জানান, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ওই দুই ভাইকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে ভারতে। যদিও এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগতে পারে যদি সপ্তাহান্তে নথিপত্র সংক্রান্ত সমস্ত কাজ শেষ না হয়। ব্যাঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস এই দুই জনের জন্য ইমার্জেন্সি ট্রাভেল সার্টিফিকেট জারি করতে পারে। ইতিমধ্যেই গোয়া পুলিশের একটি টিম ফুকেটে পৌঁছেছে। গোয়ার ডিজিপি আলোক কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে কমপক্ষে চার দিন সময় লাগবে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, ভারতে আসার পরে ওই দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। যেহেতু থাইল্যান্ড থেকে গোয়ার সরাসরি কোনও ফ্লাইট নেই, তাই তাঁদের থাইল্যান্ড থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে এর পরে সেখান থেকে গোয়ায় ফিরিয়ে আনা হবে এই দুই ভাইকে।

    উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর গোয়ার একটি নাইটক্লাবে আগুন লেগে মৃত্যু হয় ২৫ জনের। সেই ঘটনায় নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। উপযুক্ত অনুমতি ছাড়াই সেখানে একাধিক কার্যক্রম চলছিল, উঠেছিল এই অভিযোগ। ঘটনায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। এর পরেই ভারত ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন নাইট ক্লাবের মালিক ‘লুথরা ব্রাদার্স’। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল। এ বার থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করেছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা দিল্লির একটি আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।

  • Link to this news (এই সময়)