ইকো পার্কে বেড়াতে গেলে এবার মিলবে ভিস্তাডোম কোচে চড়ে ঘোরার নতুন অভিজ্ঞতা। কুয়াশাঘেরা শীতের সকালে রোদ মেখে বেড়ানো, এই আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে নিউটাউনের ইকো পার্কে তৈরি হয়েছে দার্জিলিংয়ের ঘুম স্টেশনের রেপ্লিকা। সেখান থেকেই ছাড়ছে ভিস্তাডোম কোচ-সহ টয় ট্রেন। বন্দে ভারত ট্রেনের মতো ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যায় এমন সিটে বসে কাচের জানলার বাইরে প্রকৃতির রূপ উপভোগ করার সুযোগ মিলবে যাত্রীদের। শুধু প্রকৃতি নয়, ইকো পার্কের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা বিশ্বের ‘সেভেন ওয়ান্ডার্স’-এর রেপ্লিকাও দেখা যাবে এই যাত্রায়।
ইকো পার্ক বরাবরই বড়দিন ও বর্ষবরণে ভিড়ে উপচে পড়ে। পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য এখানে রয়েছে নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। বহুদিন ধরেই টয় ট্রেন চললেও, সেটি পাহাড়ি পথে চলা আসল টয় ট্রেন নয়। রেললাইন নয়, বরং রবারের চাকা-ওয়ালা গাড়ির মতো রাস্তা দিয়ে চলে এটি। আগেও এখানে এসি ও নন-এসি, দু’ধরনের টয় ট্রেন চালু ছিল। এবার HIDCO-র উদ্যোগে যুক্ত হল ভিস্তাডোম কোচের বিশেষ পরিষেবা।
ইকো পার্কের ৩ নম্বর গেটের ভিতর তৈরি ঘুম স্টেশনের রেপ্লিকা থেকে ছাড়ছে এই ভিস্তাডোম ট্রেন। এর জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টারও খুলেছে। একজনের ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ৩০০ টাকা। ৩ নম্বর গেট থেকে রওনা হয়ে ২ নম্বর গেট, তারপর ১ নম্বর গেট ঘুরে আবার ৩ নম্বরেই শেষ হবে যাত্রা। পুরো সফরে সময় লাগবে ৪০-৪৫ মিনিট।
এদিকে এসি ও নন-এসি টয় ট্রেনের টিকিট কাউন্টার রয়েছে ২ নম্বর গেটের ভিতরে। নন-এসির ভাড়া ১৫০ টাকা, এসির ভাড়া ২৫০ টাকা। ভিস্তাডোমে চড়তে অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে হয়। নতুন কোচ ঘিরে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসও তুঙ্গে। সেলফি, ভিডিও, রিল, সবই জমে উঠছে।