• WHO-এর নির্দেশিকা মানতে বাধ্য নই! বাতাসের গুণমান মাপতে নিজস্ব নিয়ম আনছে মোদি সরকার
    প্রতিদিন | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের হাত থেকে আর যেন নিস্তার নেই দিল্লির। রোজই প্রায় ভোর থেকেই রাজধানীর শরীর জুড়ে কুয়াশার কম্বল! সামান্য দূরের জিনিসও চোখে পড়ছে না। দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করে দিল্লি সরকার। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। এর মাঝেই দূষণ প্রসঙ্গে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্র সংসদকে জানিয়েছে যে ভারত বাতাসের মান নিজে নির্ধারণ করবে নিজস্ব পদ্ধতিতে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্থার প্রকাশ করা বাতাসের মানের কোনও সরকারি অনুমোদিত তালিকা নেই।

    সরকার আরও জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু দূষণ নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক নয়, এগুলি কেবল পরামর্শ দেওয়ার মানদণ্ড। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ডব্লিউএইচও গ্লোবাল এয়ার কোয়ালিটি ডাটাবেস, পরিবেশগত পার্ফরম্যান্স সূচক এবং গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ মেট্রিক্সের মতো বিশ্ব সূচকগুলিতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র এই প্রতিক্রিয়া জানায়।

    পরিবেশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, WHO-এর নির্দেশিকাগুলি কেবলমাত্র ভৌগোলিক, পরিবেশগত পরিস্থিতি এবং স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব মান তৈরি করতে সহায়তা করার জন্য রয়েছে। তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত মান রক্ষার জন্য ভারত ইতিমধ্যেই ১২টি প্রধান দূষণকারীকে দেশের ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড (NAAQS) জানিয়ে দিয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, কোনও কর্তৃপক্ষ সরকারীভাবে বিশ্বব্যাপী র‍্যাঙ্কিং পরিচালনা করে না। কিন্তু, দেশের সরকার তার বার্ষিক স্বচ্ছ বায়ু সর্বেক্ষণের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বায়ুর গুণমান মূল্যায়ন করে। জাতীয় পরিষ্কার বায়ু কর্মসূচিতে (এনসিএপি) থাকা দেশের ১৩০ শহরের তালিকা তৈরি করা হয়।

    বায়ু মান পর্যবেক্ষণের জন্য সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের সংকলিত তথ্য প্রকাশের কয়েক মাস পরে বায়ু দূষণ সংকটের বিষয়ে কেন্দ্র নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই তথ্যে দেখা গিয়েছে, ভারত ২০২৪ সালে হু-এর বায়ু মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)