গৌতম ব্রহ্ম: ফের কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই বাঘাযতীনের রামগড় বাজার। ওই বাজারে থাকা কমপক্ষে ৪০টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছে। যা নেভানোর কাজ চলছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, কোনও একটি দশকর্মার দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতারাতি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাতে হতাশ ব্যবসায়ীরা।
ঘড়ির কাঁটায় বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা হবে। দাউদাউ করে বাঘাযতীনের রামগড় বাজারে আগুন জ্বলতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা স্থানীয়দের নজরে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও রয়েছে পকেট ফায়ার। এদিন সকালে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁদের। স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, প্রায় বছর চল্লিশের পুরনো এই বাজারে কমপক্ষে ৪০-৫০টি দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের কোনও বিমা করা নেই। তাই বাজার পুনর্নির্মাণ-সহ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিয়ে সরকারকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানানোর কথা জানিয়েছেন কাউন্সিলর। স্থানীয় বিধায়কও একই কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেই আশ্বাস তাঁর। ৫৭ কাঠা সরকারি খাসজমির উপর তৈরি এই বাজারে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করে চলেছেন দোকানিরা। রাতারাতি দোকানপত্র পুড়ে খাক হয়ে যাওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় দশকর্মা দোকানি যুগল দাস, ফল ব্যবসায়ী তারক কুণ্ডু এবং সবজি ব্যবসায়ী জীবন কুণ্ডুর ব্যবসা হারিয়ে চোখে জল। ধ্বংসাবশেষ থেকে দোকানের ধ্বংসাবশেষ কুড়োতে ব্যস্ত বহু ব্যবসায়ী। আপাতত অগ্নিদগ্ধ বাজার চত্বর ঘিরে রাখা হয়েছে। কেনাবেচা বন্ধে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রাও।