প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় তাঁকে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারবেন পড়ুয়া,অভিভাবক এবং শিক্ষকেরাও। তবে, কারা এই প্রশ্ন করতে পারবেন, তা ঠিক করতে হবে অনলাইনেমাল্টিপল চয়েস প্রতিযোগিতা। জানিয়েছেন সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জোসেফ ইমানুয়েল।
প্রতি বারই পরীক্ষার মরসুম শুরু হওয়ার আগে এই ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ নামে অনুষ্ঠান করেনপ্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষার্থীরা কী ভাবে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দেবে, তা নিয়ে সেখানে পরামর্শ দেন তিনি। পরীক্ষার্থীদের সাহস জোগান। তাদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলেন।অনেকের প্রশ্ন শোনেন এবং সে সবের উত্তর দেন। সিআইএসসিই বোর্ডের এক অধ্যক্ষ জানান, প্রতি বছরই হাজার হাজার পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীকেপ্রশ্ন করতে চান। অনেক অভিভাবকও তাঁকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছুক। কিন্তু সকলের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভবনয়। তাই কারা প্রশ্ন করতে পারবেন, তা বাছাই করা প্রতি বারই কঠিন হয়ে পড়ে।
সিআইএসসিই বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশ্ন করার যোগ্যতা অর্জন করার জন্যঅনলাইনে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের প্রতিযোগিতা হবে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাপ্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। ১ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে https://innovateindia1.mygov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। পড়ুয়া, শিক্ষক এবংঅভিভাবকদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্ন থাকবে। যাঁরা ওই প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত হবেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকেঅনলাইনে প্রশ্ন করতে পারবেন, যার উত্তর প্রধানমন্ত্রী দেবেন তাঁর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য়।
স্কুলগুলির অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, অনেক পড়ুয়াই জানতে চান, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় প্রধানমন্ত্রীকেকী ভাবে প্রশ্ন করা যায়। অনেকেই মনে করতে পারেন, বিশেষ বিশেষ স্কুলের পড়ুয়ারাই শুধু এই সুবিধাপায়। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে সব স্কুলই। মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নেরপ্রতিযোগিতায় যাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারবেন এবং নির্বাচক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন, তাঁরাইপ্রধানমন্ত্রীকে অনলাইনে প্রশ্ন পাঠাতে পারবেন। এ বার এই সুযোগ অভিভাবক এবং শিক্ষকেরাপাওয়ায় প্রশ্নের বৈচিত্র্যও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার জন্য সবারকাছে দরজা খুলে গেল। যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী। খুবই ভালউদ্যোগ। সারা দেশেই পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে কম-বেশি টেনশন থাকে। কোথায় পরীক্ষার্থীদের ভীতি আছে, প্রধানমন্ত্রী তা জানতে পারলে তাঁর পরামর্শ দেওয়াটাবাস্তবসম্মত হবে।’’ ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে এইওয়েবসাইটের কথা স্কুলের পড়ুয়াদের বলেছি। অনেকেই এই মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের প্রতিযোগিতায়অংশ নেবে। এটা পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্যও ভাল সুযোগ। শিক্ষকদের কাছে পড়ুয়ারা তাদেরপরীক্ষা-ভীতি নিয়ে অনেক কথা খুলে বলে। ফলে পড়ুয়াদের হয়ে অনেক প্রশ্ন থাকবে শিক্ষকদের।প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেই উত্তর এলে সুবিধা হবে তাঁদের।’’
শিক্ষকদের একাংশ মনে করেন, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ মূলত রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ড, সিবিএসই, সিআইএসসিই বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে করা হলেও শ্রেণির পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থীদের ভীতি কাটাতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ কাজে লাগবে।