সাক্ষী-কাণ্ডে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তারি শূন্য। বুধবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যে ট্রাকের ধাক্কায় সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের গাড়ি মাছের ভেড়িতে পড়ে উল্টে যায়, তার চালক আব্দুল আলিম মোল্লা এখনও অধরা। এখনও ধরা যায়নি সেই নজরুল মোল্লাকে, দুর্ঘটনার পরে যাঁর বাইকে চেপে আলিম পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। কেন এখনও তাঁদের ধরা গেল না? কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁরা? তার কোনও জবাব নেই প্রশাসনের কাছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার এক দিন পরে শেখ শাহজাহান, শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি, সন্দেশখালি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও তৃণমূল নেতা মোসলেম শেখ, ট্রাকের চালক আলিম মোল্লা, গফ্ফর শেখ, সাবির আলি মোল্লা, ছয়রাফ মির ও আব্দুল কাহার মোল্লার নামে অভিযোগ দায়ের করেন ভোলানাথ ঘোষ।
ন্যাজাট থানার রাজবাড়ি ফাঁড়িতে বৃহস্পতিবার ভোলানাথ ঘোষ অভিযোগ জানান, জেলে বসে শাহজাহান খুনের পরিকল্পনা করেন এবং সেই পরিকল্পনা কার্যকর করতে জেল থেকে ফোনে স্ত্রী তসলিমাকে নির্দেশ পাঠান শাহজাহান।
বুধবার সরবেড়িয়া থেকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে যাচ্ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ ও তাঁর ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ। ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময়ে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করছে CBI। তার অন্যতম সাক্ষী সরবেড়িয়ার ভোলানাথ। সূত্রের খবর, ৫ জানুয়ারি ইডির উপরে হামলার সময়ে ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল আলিম মোল্লাকেও।
ভোলানাথের দাবি, তাঁদের সবাইকে খুন করতেই ট্রাকের চালক তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারেন। ভোলানাথের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরে ট্রাক ফেলে পালান চালক আলিম। নজরুল মোল্লা সেখানে বাইক নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর বাইকে উঠেই চম্পট দেন।