নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ঠিক বাইরেই নীল সমুদ্র। আর্জেন্তিনার নীল-সাদা জার্সিতে ঘোর লাগার জোগাড়। সাপের ল্যাজের মতো আঁকাবাঁকা লাইন ছড়িয়েছে বহুদূর। একটা টিকিটও এখন হটকেক। মেসির কলকাতা সফরের কাউন্টডাউন শুরু। আজ, শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতায় পা রাখছেন এলএমটেন। শনিবার যুবভারতীতে মেগা শো’র আগে মেসি ম্যানিয়ায় কাঁপছে শহর।
২০১১ সালে ২ সেপ্টেম্বর ফুটবলের মক্কায় ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল মেসির আর্জেন্তিনা। তারপর ১৪ বছর অতিক্রান্ত। ফুটবলের শহরে পা রাখছেন বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি। প্রতিটি মুহূর্ত চেটেপুটে নিতে তর সইছে না তিলোত্তমার। সকাল ৭টা থেকে স্টেডিয়ামের পাঁচটি গেট খোলা থাকবে। বিশেষ স্ক্যানারে দু’বার টিকিট চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। মেগা সংবর্ধনায় পরের পর চমক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রিন্স অব ক্যালকাটা সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে মুম্বই থেকে কিং খানকে উড়িয়ে আনছেন উদ্যোক্তারা। শাহরুখের সোশ্যাল পেজ থেকে এদিনই তা কনফার্ম করা হয়েছে। লিখেছেন, ‘১৩ তারিখ দেখা হচ্ছে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। তবে এবার নাইটদের জন্য নয়। ভ্রমণ হবে মেসিময়।’
লেজেন্ড ম্যাচে মোহন বাগানের প্রতিপক্ষ ডায়মন্ডহারবার এফসি। পালতোলা নৌকার হয়ে শিলটন, সংগ্রাম, লালকমল, দীপেন্দু, দীপকদের মাঠে নামার কথা। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের ম্যানেজার প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, কিবুর দলের হয়ে মহম্মদ রফিক, দীপঙ্কর রায়, অভ্র মণ্ডলদের খেলার কথা। জানা যাচ্ছে, হুডখোলা জিপে নয়, পায়ে হেঁটেই দর্শকদের অভিবাদন কুড়োবেন লিও। জনা ২০ খুদের সঙ্গে ফুটবল ক্লিনিক অন্যতম আকর্ষণ।
মেসি কি বলে পা দেবেন? অধীর আগ্রহে অপেক্ষা শুরু অনুরাগীদের। পালস বুঝেই বিশেষ অনুরোধ পৌঁছে গিয়েছে তাঁর ম্যানেজারের কাছে। অন্তত কয়েকটি পেনাল্টি কিক নিলেও চোখের শান্তি। পাশাপাশি মেসির হাতে বাঙালি পোশাক তুলে দিয়ে সারপ্রাইজের পরিকল্পনাও রয়েছে। স্পেশাল ডিশে থাকছে ইলিশ, চিংড়ি আলু পোস্তর মতো বাঙালি মেনু। মোদ্দা কথা, আতিথ্যের ডালি সাজিয়ে প্রস্তুত কল্লোলিনী কলকাতা। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে যাবতীয় অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি। এরপর যুবভারতী থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে পৌঁছোবেন মেসি।