সোমা মাইতি: হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদের নামে ভয়ংকর জালিয়াতির অভিযোগ! হুমায়ুন কবিরের বাবরি মসজিদের ট্রাস্টের নাম করে কিউআর কোড জালিয়াতির অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৬(৩), ৩৮৮ ও ৬১(২) ধারায় দায়ের এফআইআর।
১০ ডিসেম্বর বিকেলে সাইবার ক্রাইম থানায় হুমায়ুন কবিরের সংস্থা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া'-র কোষাধ্যক্ষ মহম্মদ আমিনুল সেখের লিখিতি অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, ৯ ডিসেম্বর থেকেই ট্রাস্টের তথ্য ডুপ্লিকেট করে নকল কিউআরকোড তৈরি করা হয়। বিভিন্ন কিউআরকোড থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩ ব্যক্তির নাম। অভিযোগকারীর দাবি, এই ৩ ইউপিআই নম্বরের সঙ্গে ট্রাস্টের কোনও যোগ-ই নেই।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গিয়েছে হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদের। তারপরই একদিকে, যেমন হুমায়ুনের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ এলাকার পাশের জমিতে দেখা গিয়েছে স্তূপাকার ইট ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী। তেমনই রীতিমতো মেশিন আনিয়ে চলে দানের টাকা গোনার কর্মযজ্ঞও।
এরমধ্যেই হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, মসজিদের জন্য দান হিসেবে জমা পড়েছে ৩ কোটি টাকা। মোট ১২ ট্রাঙ্ক ও বস্তায় দানের টাকা জড়ো করা হয়। বাবরি মসজিদের জন্য দানের টাকা গুনতে ৩০ জন লোককেও নিয়োগ করা হয়! রীতিমতো যন্ত্র দিয়ে চলে টাকা গোনার কাজ। একদিকে নগদে দান, সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কেও কিউ আর কোডের মাধ্যমে জমা পড়ে টাকা। ২ কোটি ১০ লক্ষের বেশি টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর।
সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ থেকেও নাকি দানবাক্সে জমা পড়ে টাকা। বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা নাকি জমা পড়েছে দানবাক্সে! জানা যায়, ১২ ট্রাঙ্ক-বস্তা মিলিয়ে মোট ৫৭ লক্ষ টাকা মেলে দানবাক্স থেকে। ওদিকে কিউআর কোডের মাধ্যমে মেলে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। এখন সেই কিউআর কোড নিয়েই জালিয়াতির অভিযোগ।