• মেসির ইভেন্টে এমন কেন হল? প্রথমবার LM10-কে কলকাতায় আনা মদন মিত্র যা বললেন
    আজ তক | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ‘ফুটবলের শহর’ কলকাতা। এই তকমা এমনি এমনি আসেনি। পেলের খেলা দেখেছে এই শহর। দেখেছে মারাদোনা, ফোরলান, মেসিকেও। ২০১১ সালে, মদন মিত্র যখন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী, তখনই প্রথমবার লিওনেল মেসি কলকাতার মাটিতে পা রাখেন। সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলা বনাম আর্জেন্টিনার ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ঘিরে সেদিন গোটা পৃথিবীর চোখ ছিল কলকাতার দিকে। পরে বহুবার মদন মিত্র নিজেই বলেছেন, মেসির সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন, নানা কথাও হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। সেই সফর ছিল স্মরণীয়, গর্বের।

    কিন্তু এবারের মেসি-সফর কলকাতার ইতিহাসে একেবারেই ভিন্ন ছবি তুলে ধরল। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান রীতিমতো বিশৃঙ্খলায় ডুবে গেল। অভিযোগ, মাঠে ঢোকার মুহূর্ত থেকেই লিওনেল মেসিকে ঘিরে ধরেন নেতা-কর্তা-মন্ত্রীরা। সাধারণ দর্শকদের জন্য কোনও স্পষ্ট ব্যবস্থাই ছিল না। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী প্রিয় তারকাকে চোখে দেখার সুযোগ পেলেন না।

    এরপরই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। মাঠে উড়তে শুরু করে জলের বোতল। ভাঙা হয় গ্যালারির চেয়ার, ফেলে দেওয়া হয় মাঠের ভিতরে। ফেন্সিং ভেঙে শয়ে শয়ে মানুষ ঢুকে পড়েন মাঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলেও কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারাতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবভারতী স্টেডিয়াম রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। শহরের গর্বের স্টেডিয়াম লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

    এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ২০১১ সালে মেসির ম্যাচের দায়িত্বে থাকাকালীন তো এমন কোনও সমস্যা হয়নি, তাহলে এবার কেন এই চরম বিশৃঙ্খলা? উত্তরে মদন মিত্র সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, 'এই বিষয়টাতে আমি কোনও মন্তব্য করব না।'

    তবে কলকাতার ফুটবলপ্রেমী মহলের একাংশের মত, এই সফর বিশ্বদরবারে শহরের ভাবমূর্তিকে ধাক্কা দিয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সল্টলেক ও সংলগ্ন এলাকা। বিশৃঙ্খলার জেরে মাঝপথ থেকেই ফিরে যেতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মেসির সঙ্গে মাঠে আসার কথা থাকলেও শাহরুখ খানও হোটেল থেকেই ফিরে যান।

    ফুটবলের শহর কলকাতার ইতিহাসে এই অধ্যায় তাই গর্বের নয়, বরং লজ্জা আর হতাশার স্মারক হয়েই রয়ে গেল।

     
  • Link to this news (আজ তক)