নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ গিয়েছে। ত্রিপুরাও অতীত। ভারতের ৩৪ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র যেখানে রাজ্য সরকার হিসেবে শেষ উপস্থিতি ছিল, সেই কেরল থেকেও কি বিদায় ঘণ্টা বাজছে সিপিএমের? বিধানসভার ভোট আগামী বছর। পশ্চিমবঙ্গের মতোই। তার আগেই কেরলে পরিবর্তনের আভাস। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে কেরলের একঝাঁক কর্পোরেশন, পুরসভা, জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। সেই ফলে দেখা যাচ্ছে, বামেদের পিছনে ফেলে বহু পুরসভা, পঞ্চায়েত, কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ দখল করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের কর্পোরেশন দখল করেছে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে। ৪৫ বছর পর বামেরা এই কর্পোরেশন হারালো। তাও আবার বিজেপির কাছে।এমনকি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাতেও বিজেপি ভালো ফল করেছে। ধাক্কা খেয়েছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোট। চমকপ্রদ ফলাফল কংগ্রেসের। ছ’টি কর্পোরেশনের মধ্যে চারটিই দখল করেছে কংগ্রেস। ৯৪১ গ্রাম পঞ্চায়েত অসনের মধ্যে কংগ্রেস জোট পেয়েছে ৫০৫। ১৪ জেলা পরিষদের মধ্যে সাতটি জেলা পরিষদ দখল করেছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শহর এবং গ্রাম সর্বত্র প্রভাব হারিয়েছে বামেরা। কংগ্রেস ভালো ফল করবে সেটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বিজেপি ক্রমেই কেরলে অগ্রসর হচ্ছে। যা সিপিএমের কাছে অশনি সংকেত। যদিও এই ফলাফল থেকে বিধানসভার ভোটের কোনও অনুমান করা ঠিক হবে না বলে জানিয়েছে কেরল সিপিএম। পাশাপাশি শশী থারুরের তিরুবনন্তপুরম দখল করে বিজেপি এতটাই উচ্ছ্বসিত যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাবৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃত্ব শনিবার বিকেলের পর রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। জয়ের পর উচ্ছ্বাস কংগ্রেস কর্মীর। ছবি: পিটিআই