• মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর বসাতে বললেন পর্ষদ সভাপতি
    বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর বসাতে বললেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার জলপাইগুড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি সেন্টার ইনচার্জ, ভেন্যু ইনচার্জ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি জানিয়ে দেন, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কারও বিরুদ্ধে যদি গাফিলতি প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে পর্ষদ মোটেই রেয়াত করবে না। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা দিতে ঢোকার সময় ছাত্রছাত্রীদের কাছে অবাঞ্ছিত কিছু রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মেটাল ডিটেক্টর যদি কেনা যায়, স্কুলগুলিকে সেব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।

    উত্তরবঙ্গে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং পরীক্ষা শেষে আবারও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বনদপ্তর গত কয়েক বছর ধরে খুব ভালো কাজ করছে বলে এদিন জানান পর্ষদ সভাপতি। বলেন, স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের চাল-ডাল কিংবা রান্না করা খাবারের টানে যাতে বন্যপ্রাণীরা চলে না আসে, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এবার জলপাইগুড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ন’হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান রামানুজবাবু। তিনি বলেন, কোচবিহারে ১০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবার। জলপাইগুড়িতে ৯ হাজার। এটা খুবই ভালো দিক। সরকারি স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা হয় না বলে কেউ কেউ প্রচার করে থাকে। ওই প্রচার যে ভুল, তা সরকারি স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি প্রমাণ করে। তবে বিগত বেশকিছু বছর ধরে মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলা একেবারে নীচে পড়ে থাকছে কেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। 

    বৈঠক শেষে পর্ষদ সভাপতির দাবি, প্রতিটি জেলাতেই মাধ্যমিক নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক চলছে। এনিয়ে ১৯টি জেলায় এই বৈঠক হল। গত বছর খুব ভালোভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এবারও যাতে তা হয়, সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কারও বিরুদ্ধে যদি গাফিলতি প্রমাণ হয়, সেক্ষেত্রে রেয়াত করা হবে না। গতবারও আমরা বিভিন্ন ঘটনা ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ৩ হাজার জনকে শোকজ করি। বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    রামানুজবাবু বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা গত তিন বছর ধরে বাধ্যতামূলক। স্কুলগুলি যদি পারে, আমরা মেটাল ডিটেক্টরও বসাতে বলছি। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ সহ উত্তরবঙ্গের বেশকিছু স্কুল ইতিমধ্যেই মেটাল ডিটেক্টর কিনে ফেলেছে। তাঁর দাবি, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছ। যাতায়াতের রাস্তা সহ পরিকাঠামোয় ঘাটতি থাকায় এবার রাজ্যে বেশ কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র কমানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)