• লোনের কিস্তি জমা পড়েনি সংস্থায়, ফের ঋণ নিতে গিয়ে বিপাকে মহিলা
    বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: একটি মাইক্রোফিনান্স কোম্পানিতে লোনের টাকা জমা করার পরেও তা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার ময়নাগুড়িতে ওই কোম্পানির অফিসের শাটার নামিয়ে তালা বন্ধ করে দেন গ্রাহকরা। অফিসের সামনেই ধর্নায় বসেন দুই উপভোক্তা ও তাঁদের আত্মীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ব্লকের বোলবাড়িতে। এদিকে, অফিসের সামনে কোম্পানির এক কর্মী এলে তাঁর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপভোক্তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে কোম্পানির এক কর্মী পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর বাইকের চাবি আটকে রেখে দেন কয়েকজন। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের তুমুল বচসা। ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ চলে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গৃহবধূ মায়া রায় তাঁর বাড়ি থেকে ১১ কিমি দূরে বোলবাড়িতে একটি মাইক্রোফিনান্স কোম্পানি থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন তুলেছিলেন। কয়েক মাস লোন চালানোর পর ৩১ হাজার ৫০০ টাকা তিনি অফিসে এসে কোম্পানির এক কর্মীর কাছে জমা করেন। পাশবইতে সেই টাকার হিসেব হাতে লিখে তুলে দেওয়া হয়। বেশকিছু দিন যাওয়ার পর মায়া রায় পুনরায় একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন তুলতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁর অন্য একটি লোন চলছে। এটা জানতে পেরেই মাথায় তাঁর আকাশ ভেঙে পড়ে। তাঁর অভিযোগ, মাইক্রোফিনান্স কোম্পানির অফিসে একাধিকবার এলেও তাঁর কথার কর্ণপাত করা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। 

    মায়া রায় বলেন, লোন পরিষোধ করলেও এখনও দেখাচ্ছে লোন আছে। প্রতারণা করা হয়েছে আমার সঙ্গে। একাধিকবার অফিসে এসেও সুরাহা মেলেনি। বাধ্য হয়ে এদিন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। আরএক উপভোক্তা উর্মিলা রায় বলেন, আমিও লোন তুলেছি। এই ঘটনা জানতে পেরে আমিও এসেছি। চিন্তার মধ্যে রয়েছি। 

    এদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে কোম্পানির এক কর্মী দীপঙ্কর রায় জানান, কী ঘটনা হয়েছে সেটা তাঁর জানা নেই। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। • নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)