লরির ধাক্কায় এএসআইয়ের মৃত্যুতে ক্ষোভ বাড়ছে ভাঙড়ের পুলিশ কর্মীদের
বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় এএসআই শাহাবুদ্দিন বিশ্বাসের মৃত্যুতে ক্ষোভ বাড়ছে ভাঙড়ে কর্মরত কলকাতা পুলিশ কর্মী মহলে। লালবাজার থেকে ভাঙড়ের দূরত্ব ৩৮ কিমি। প্রতিদিন কার্যত জীবন হাতে নিয়ে বাইকে চেপে এই দীর্ঘ রাস্তায় যাতায়াত করতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের।
ভাঙড়ে কর্মরত ক্ষুব্ধ পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের অভিযোগ, ‘ভাঙড়ের থানার বারাকে এখনও পর্যাপ্ত জায়গা নেই। মূল কলকাতা থেকে ভাঙড়ে যাতায়াতের জন্য সরকারি –বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা এখনও সেভাবে গড়ে উঠেনি। তেমনি নীচুতলার পুলিশ কর্মীদের জন্য কোনও পিকআপ-ড্রপের ব্যবস্থাও নেই। কার্যত জীবন হাতে নিয়ে বাইকে যাতায়াত করা ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা নেই।’ সম্ভবত তারই মাসুল দিতে হয়েছে শাহাবুদ্দিনকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাসন্তী হাইওয়ে চার লেনে সম্প্রসারিত হওয়ার কথা থাকলেও, এখনও তার কাজ শুরু করা যায়নি। এই রাস্তাতে এখনও পর্যাপ্ত আলো নেই। একদিকে অপ্রশস্ত রাস্তা, অন্যদিকে আলোর অভাবে রাতের অন্ধকারে বাসন্তী হাইওয়ে যেন মৃত্যু-ফাঁদ। পাশাপাশি, এই রাস্তাতে প্রচুর সংখ্যক মোটর ভ্যান এবং সাধারণ ভ্যানের মতো চলাচল করা ধীরগতির যানবাহনের সামনে কোনও হেড লাইট থাকে না। যা শীতের রাতে ঘন কুয়াশায় বিপদ ডেকে আনছে। উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর রাতে ডিসি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুয়াশার জেরেই লরির ধাক্কাতে মৃত্যু হয়েছে শাহাবুদ্দিন বিশ্বাসের।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশ ওয়েল ফেয়ারের নেতা রুহুল আলি আমিন শাহের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শুধু ভাঙড় নয়, কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের অনেক থানার নিজস্ব বিল্ডিং নেই। ভাড়া বাড়িতে কোনওমতে কাজ চলছে। আমরা ইতিমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনার সাহেবের কাছে আবেদন জানিয়েছি, যাতে দ্রুত নিজস্ব ভবন ও বারাক তৈরি করা যায়। আশা রাখছি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।’