• ‘মেসিকে আনতে দাদা ৩ বছর ধরে খেটেছিলেন…’, মন্তব্য শতদ্রুর পরিবারের ঘনিষ্ঠের
    এই সময় | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হুগলির রিষড়ার বাঙুর পার্কে অবস্থিত ‘চারু সুধা’ নামে বহুতলের সামনে রবিবার সকাল থেকেই মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। বাড়িটি ‘মেসি-কাণ্ড’-এ ধৃত অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্ত-র। রবিবার দীর্ঘক্ষণ পরে এই বাড়ি থেকে বার হলেন এক তরুণী। ‘আপনি কে, শতদ্রু দত্ত আপনার কে হন?’, ‘এই সময় অনলাইন’-এর প্রতিনিধির প্রশ্ন প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে বলেন, ‘আমি দিদি (শতদ্রু দত্তের স্ত্রী)-র মেকআপ আর্টিস্ট’। তিনি জানান, এ দিন বাড়িতে কেউ নেই। শতদ্রুর পরিবারের সদস্যরা কোথায়, সে বিষয়ে তাঁর জানা নেই। মৌসুমী দাস নামে ওই তরুণীর মন্তব্য, ‘...দাদাও নাওয়া-খাওয়া ভুলে গত তিন বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের জন্য খেটেছিলেন।’

    শনিবার যুবভারতীতে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে আয়োজকদের ভূমিকা। ওই দিনেই অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই শতদ্রুর রিষড়ার বাড়ি থেকেই এ দিন বিকেলে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা। নিজেকে শতদ্রুর স্ত্রীর মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া ওই মহিলা বলেন, ‘রবিবার থেকেই বাড়িতে কেউ নই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দাদা অনেক আশা নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তিনি তিন বছর ধরে নাওয়া-খাওয়া ভুলে দৌড়ঝাঁপ করেন। এখানে দাদার কোনও দোষ দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বার বার মাইকে বলছিলেন মাঠ ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য। শনিবার যা ঘটল, তা সকলের কাছেই দুঃখজনক।’

    ফুটবল সংগঠক হিসেবে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন শতদ্রু। কলকাতায় মেসিকে আনার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর তিনি। তাঁর গ্রেপ্তারির পরে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছেন শতদ্রুর প্রতিবেশী সমীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাকে একবার ব্রাজিলে নিয়ে গিয়েছিলেন শতদ্রু। ভালো ব্যবস্থা ছিল। এর আগেও ও অনেক খেলোয়াড়কে নিয়ে এসেছে। এ রকম কখনও হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘

    আমরা ভিআইপি বক্সে বসেছিলাম। সেখান থেকেও মেসিকে দেখতে পাইনি। ফুটবলের ভগবান মেসি যে আমাদের মাঠে নিঃশ্বাস নিয়েছেন, সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম, এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।’

    ওই এলাকার বাসিন্দা, মেসি-ভক্ত সৌরিশা চৌধুরী বলেন, ‘ওখানে কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। স্বার্থপরের মতো আচরণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ টাকা দিয়েছিলেন। আর ফায়দা লুটেছেন বড়লোকরা।’

  • Link to this news (এই সময়)