শনিবার যুবভারতীর ঘটনায় কলকাতাজুড়ে বইছে ধিক্কারের স্রোত। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা। কেন মেসিকে নিয়ে মাঠেই এমন বিশৃঙখ্লার সৃষ্টি হল? কী কারণে সারা দেশের সামনে লজ্জার এমন নজির সৃষ্টি করল কলকাতা? তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এরই মধ্যে ঘটনার বিবরণ শেয়ার করলেন মেসির সঙ্গেই মাঠে থাকা আর এক ভারতীয় ফুটবলার।
শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার লালকমল ভৌমিক। লিওনেল মাঠে ঢোকার আগে ডায়মন্ড হারবার XI ও মোহনবাগান XI এর যে ম্যাচ চলছিল সেখানে মোহনবাগানের হয়ে খেলছিলেন তিনি। পুরো বিশৃঙখ্লার ঘটনাটিই নিজের চোখে দেখেছেন তিনি।
গতকালের ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে লালকমল বলেন, "যখন মেসি হেঁটে স্টেডিয়ামে ঢুকল, তখন ওকে শান্তই লাগছিল। মুখে হাসি নিয়েই সকলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিল। এমনকী পরপর অটোগ্রাফও দিয়ে যাচ্ছিল।" কিন্তু পুরো বিষয়টিই বদলে গেল, যখন মেসি দেখল অনেকে ওর শরীরের কাছে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করছে। একেবারে গায়ে ঘেঁষে ছবি তোলার বিষয়টি মোটেই পছন্দ করেননি মেসি।
লালকমল বলেন, "ওই মুহূর্তে বহু লোক মাঠে ঢুকে পড়েছিল। মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়িও শুরু করেছিল। গোটা বিষয়টাই মেসি নিজে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে। মাত্র কয়েক মিনিটেই মেসি ভিড়ের মধ্যে পড়ে যায়। এরপর থেকেই মেসি নিজের ধৈর্য্য রাখতে পারেননি। সব কিছু হাতের বাইরে চলে যায়।"
সুয়ারেজ-ডিপল'ও যথেষ্ট বিরক্ত
প্রাক্তন ভারতীয় মিড-ফিল্ডারের দাবি,স্টেডিয়ামে মেসির যে ল্যাপ করার কথা ছিল, তা করা সম্ভব হয়নি। কারণ, মেসি মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক নেতা, সেলিব্রিটি, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং অসংখ্য ফটোগ্রাফারেরা মেসিকে ঘিরে ধরেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এরপরই মেসির নিরাপত্তারক্ষীরা মেসিকে বাইরে নিয়ে যান।
মেসি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে মাঠ ছাড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফ্যানেরা। কারণ অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা ১০-১২ হাজার টাকার টিকিট কেটে মাঠে এসেছিলেন। শুরু হয় বোতল ছোঁড়া, চেয়ার ভাঙচুর করার মতো ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে নামে এবং যুবভারতীতে তৈরি হয় এক কালো অধ্যায়ের।