অয়ন ঘোষাল: এ কেমন যাত্রী! মেট্রোয় উঠেই ভারী ব্যাগ দিয়ে দরজার আটকে দিলেন এক মহিলা। কারণ, তাঁর বন্ধুরা তখনও স্টেশনেই রয়েছে দিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে ফেলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর।
মেট্রো পথে জুড়ছে শহর। কলকাতায় এখন গঙ্গার নিচে দিয়েও চলছে মেট্রো। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়েছে। আবার নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দু বিমানবন্দর পর্যন্তও মেট্রো চলছে। এই রুটটিতে ইয়েলো লাইন নামে পরিচিত।
মেট্রো সূত্রে খবর, শনিবার ইয়েলো লাইনে নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর রুটে মেট্রোয় যাচ্ছিলেন এক মহিলা। দমদম ক্য়ান্টমেন্ট স্টেশন থেকে মেট্রোয় উঠেছিলন তিনি, কিন্তু সঙ্গে যিনি ছিলেন, তিনি উঠতে পারেননি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওই মেট্রোয় ওঠার একটি ব্যাগ রেখে দরজা আটকে দেন! ফলে দমদম ক্য়ান্টমেন্ট স্টেশনেই দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রো। শেষে মেট্রো চালক নিজে স্টেশন নেমে ম্যানুয়ালি কামরার দরজা বন্ধ করেন। এই ঘটনার জেরে প্রতিটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে থেকে কিছুটা দেরিতে পৌঁছয় মেট্রো। ব্যাহত হয় পরিষেবা। ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
এর আগে, চলন্ত মেট্রোর ভিতরে কামরা দরজায় কালো স্প্রে নিয়ে ক্রশ চিহ্ন এঁকে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ছবি-ও ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ক্য়ামেরায়। তখন পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রো চলছিল নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চলন্ত মেট্রোয় হঠাত্ সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন ওই যাত্রী। এরপর এগিয়ে গেলেন বন্ধ দরজায় দিকে। একাধিক দরজায় কালো স্প্রে দিয়ে ক্রশ চিহ্ন এঁকে দিলেন তিনি। কামরায় আরও অনেক যাত্রীই ছিলেন। মেট্রো সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি যখন এই কাণ্ড ঘটাচ্ছিলেন, তখন কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু এমন আজবকাণ্ড ঘটালেন ওই ব্যক্তি? তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জট কেটেছে। কীরকম বাধা? পার্পল লাইনে মেট্রোয় মোমিনপুর এবং খিদিরপুরের মধ্যেকার একটি জমি নিয়ে সমস্য়া তৈরি হয়েছিল। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। জমিটি নেপালের কনস্যুলেটের। বাড়িটি জরাজীর্ণ এবং প্রায় পরিত্যক্ত হলেও সেটি ছিল নেপাল সরকারকে প্রদত্ত ৯৯ বছরের লিজের জমি। মেট্রোপথ সম্প্রসারিত করতে ওই জমির প্রয়োজন ছিল কর্তৃপক্ষের। অবশেষে সেই জমি জট কাটল। ওই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নেপাল কনস্যুলেটের সঙ্গে সোমবার মউ স্বাক্ষর করল কলকাতা মেট্রো এবং নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড।
চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল কনস্যুলেটের ওই জমির পরিবর্তে শহরের অন্যত্র রেলের হাতে থাকা ৫২৬.৩৪ বর্গমিটার জমি নেপাল দূতাবাসকে দেবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সোমবার ভিক্টোরিয়া স্টেশনে আরভিএনএল মডেল রুমে মউ স্বাক্ষর হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কলকাতার নেপাল কনসাল জেনারেল জাক্কাপ্রসাদ আচার্য ছাড়াও ছিলেন মেট্রোর একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।