• যুবভারতীতে তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • পুলিশ সূত্রে খবর, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই দু’জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই নাগেরবাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আটটি নির্দিষ্ট ধারায় এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারি কর্মীকে আহত করা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে গুরুতর ভাবে জখম করা, গোলমাল পাকানোর মতো অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ধারাগুলি যুক্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এবং শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগেও নির্দিষ্ট আইনের ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    শনিবার লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে তাণ্ডব চলে। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুর চালানো হয়। প্রায় ২০ মিনিট থাকার পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান মেসি, সুয়ারেজ এবং ডি’পলেরা। যেটুকু সময় স্টেডিয়ামে ছিলেন দর্শকরা তাঁদের ঠিকমতো দেখতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।  মেসি স্টেডিয়াম ছাড়ার পরেই জনতার রোষ আছড়ে পড়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে গ্যালারিতে হোর্ডিং ছেঁড়া হয়, চলে বোতল বৃষ্টি। গ্যালারির চেয়ার ভাঙা হয়। মাঠের ফেন্সিং ভেঙে চতুর্দিক থেকে ক্রুদ্ধ জনতার ভিড় দখল নেয় মাঠ। এই ঘটনার ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওগুলি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে সোমবার সকালে গৌরব এবং শুভ্রপ্রতিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এর আগেই শনিবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মেসির কলকাতা সফরের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্ত। হিংসায় উস্কানি দেওয়া, আঘাত করা, সম্পত্তির ক্ষতি, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মীদের হেনস্থার মতো অভিযোগে মামলা দায়ের করে বিধাননগর পুলিশের। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই ঘটনার পাশাপাশি যুবভারতীতে তাণ্ডবের ঘটনাতেও পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এ বার ভাঙচুরের ঘটনাতেও দু’জনকে পাকড়াও করল পুলিশ। সব মিলিয়ে যুবভারতীকাণ্ডে এই নিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হল।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)