• ধানের মান নিয়ে সন্দেহ! মিল মালিকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন কৃষকরা
    এই সময় | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, ময়নাগুড়ি: সহায়ক মূল্যে নিজেদের জমির উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে এসে মিল মালিকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন কৃষকরা। সোমবার ময়নাগুড়ি কৃষক বাজারে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা দীর্ঘ সময় ধরে কৃষক বাজারে বিক্ষোভ দেখান। উত্তপ্ত বাদানুবাদ চলে এক মিল মালিকের সঙ্গে। পরে অবশ্য কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক রাজেশ পণ্ডিত বলেন, 'কী কারণে কৃষকরা বিক্ষোভদেখালেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।'

    সরকারের উদ্যোগে সহায়ক মূল্যে গত কয়েক দিন ধরে ময়নাগুড়ি কৃষক বাজারে ধান কেনা শুরু হয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে একজন কৃষক সরকারি ধান সংগ্রহ কেন্দ্রে সর্বাধিক ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারেন। এ বছর ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২৩৬৯ টাকা ও কৃষকদের উৎসাহ মূল্য কুইন্টাল প্রতি আরও ২০ টাকা অতিরিক্ত। সব মিলিয়ে ধানের ২৩৮৯ টাকা মোট দাম পাওয়ার কথা। কৃষকবন্ধুর তালিকা অনুযায়ী, কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়।

    সেই মতো সোমবার যে সব কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার কথা ছিল, সেই কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধান ময়নাগুড়ি নতুনবাজারে কৃষক বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু চালকলের মালিক এসে অধিকাংশ কৃষকের উৎপাদিত ধানের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কৃষকরা। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। কৃষকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরেন মিলের মালিক।

    কৃষকদের বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় এক সময়ে কৃষক বাজার ছেড়ে চলে যান মিলের মালিক-সহ অন্যান্য কর্মীরা। কৃষকদের বক্তব্য, এমনিতেই এ বছর ধান চাষের মরশুম শুরু হওয়ার পরে অনাবৃষ্টি, পরবর্তীতে ফলন আসার পরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে ফলন অনেক কম হয়েছে। তার উপরে মিল মালিক ধান নিতে অস্বীকার করার ফলে তাঁরা চরম বিপাকে পড়েছেন। দীর্ঘ সময় কৃষকদের বিক্ষোভ চলার পরে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে কৃষকদের থেকে মিল কর্তৃপক্ষ ধান নেওয়া শুরু করেন।

  • Link to this news (এই সময়)