পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে ঘাঁটি গড়ছে লস্কর, সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: অপারেশন সিন্দুরের পর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সতর্কবার্তা জারি করল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। উপগ্রহ চিত্র ও বিভিন্ন ছবি থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম ভ্যালিতে নতুন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে লস্কর-ই-তোইবা। নভেম্বর থেকে এই পরিকাঠামো তৈরির কাজে গতি বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, নীলম ভ্যালির সারদা এলাকায় ‘জামিয়া মসজিদ ইবন তায়মিয়াহ ওয়া মারকাজ’ নামে একটি ঘাঁটি তৈরি করেছে লস্কর। সেটি একইসঙ্গে ধর্মীয় প্রচার ও জঙ্গিদের ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই ঘাঁটি থেকে ভারতে হামলার ছক কষা হতে পারে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের ডেপুটি রিজওয়ান হানিফ। সব মিলিয়ে মোট চারটি মারকাজ বা ভবন তৈরির কাজ এখন চলছে। এছাড়া ধিরকোট, বাঘ, খাইগালা, রাওয়ালকোট, পালানদ্রি, সুধানোটি—এলাকাতেও জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে তোলার ছক কষছে লস্কর। গোয়েন্দারা মনে করছেন, অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন মুরিদকেতে লস্করের হেডকোয়ার্টার বলে পরিচিত ‘মারকাজ তোইবা’ ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। তাই মূল পরিকাঠামো খাইবার পাখতুনওয়ায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে তারা। বদলে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর সহ ভারতীয় সীমান্তের কাছে ছোটো ছোটো অনেক ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে লস্কর। ওই ঘাঁটিগুলিকে বাইরে থেকে দেখে মসজিদ মনে হলেও, ভিতরে পুরোদমে জঙ্গি কার্যকলাপ চলবে।
সম্প্রতি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের মুখপাত্র আমির জিয়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেখানে সে রাওয়ালকোটের খাইগালা এলাকার এরকম একটি ঘাঁটির কথা বলতে গিয়ে মসজিদের বদলে ভুল করে মারকাজ বলে বসে। তাতে লস্করের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।