ইউপিআই জালিয়াতির রেকর্ড রাখে না সরকার, অভিষেকের প্রশ্নে মন্ত্রী
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাবি ভাষণে বাংলার বকেয়া মেটানোর কোনও প্রতিশ্রুতি না মেলায় সোমবার লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করল তৃণমূল। মন্ত্রী জবাব দিলেন, কিন্তু
বাংলায় প্রাপ্য নিয়ে একটি শব্দও কেন নেই? প্রশ্ন তুলে সরব হন সৌগত রায়, অসিত মাল, জুন মালিয়া, প্রতিমা মণ্ডল, আবু তাহের খান। মন্ত্রী কোনও কথা না বলায় তাঁরা প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন।
অন্যদিকে, ইউপিআই জালিয়াতি মামলায় কত দ্রুত সরকার সমস্যা মিটিয়েছে, তা নিয়ে সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যওয়াড়ি হিসেবও চেয়েছিলেন তিনি। যদিও জবাবে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া রাজ্যওয়াড়ি ইউপিআই জালিয়াতির কোনও রেকর্ড রাখে না। তবে জালিয়াতির খবর জানার পরেই সাতদিনের মধ্যে ২২ শতাংশ এবং একমাসের মধ্যে ৯২ শতাংশ মামলার সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬ শতাংশ সমস্যা মিটিয়ে অর্থ উদ্ধার হয়েছে।
তৃণমূলের আর এক প্রশ্নে এবার বিজেপিকে চেপে ধরার সুযোগ খুলে গেল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের অফিস সরিয়ে নিচ্ছে। সোমবার লোকসভায় এমনটাই জানাল মোদি সরকার। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গলার শিরা ফোলানো বঙ্গ বিজেপির একাংশ প্রচার শুরু করেছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে রাজ্যের কাজের পরিবেশ নেই। বহু কোম্পানি চলে যাচ্ছে। বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। তাই পালটা দিতে এখন তৃণমূলের হাতে এসে গিয়েছে অন্য তথ্য।
সোমবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কর্পোরেট বিষয়কমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা জানিয়েছেন, বিজেপি শাসিত ওই চার রাজ্য থেকে গত ১১ বছরে ৫ হাজার ১৩৭টি কোম্পানি তাদের অফিস অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে গুজরাতে থেকে চলে গিয়েছে ৮৪৬টি কোম্পানি। মধ্যপ্রদেশ থেকে ৩৮৯। উত্তরপ্রদেশ থেকে অফিস সরিয়েছে ৭১১টি কোম্পানি। সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র থেকে। সংখ্যাটি ৩ হাজার ১৯১। লোকসভায় লিখিতভাবে মন্ত্রী এও জানিয়েছেন, গুজরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গে অফিস সরিয়েছে ৪০টি কোম্পানি। একইভাবে মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলায় এসেছে ১১টি, মহারাষ্ট্র থেকে ২১১টি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ২৮টি কোম্পানি।