• কেন্দ্রের বিএডিপির টাকা বরাদ্দ বন্ধ, ৪ বছর ধরে থমকে সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের কাজ
    বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, করিমপুর: কেন্দ্রের দেওয়া বিএডিপি (বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেণ্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রায় চার বছর আগে থেকে থমকে গিয়েছে সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের কাজ। কোথাও স্কুল ভবন তৈরি, কোথাও আবার ঢালাই রাস্তা বা কালভার্ট তৈরির মতো ছোটখাটো কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সীমান্তবর্তী পঞ্চায়েত সমিতিগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিএডিপি-র টাকার গুরুত্ব প্রচুর। রাজ্যের বা জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পঞ্চায়েত সমিতিগুলি এই বিশেষ প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকে। ওই প্রকল্পের অর্থ খরচ করার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। শুধু পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত হলেই হবে না। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা এলাকাতেই ওই প্রকল্পের টাকায় কাজ করা যায়। সেই হিসেবে করিমপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিএডিপি প্রকল্পের টাকার সুবিধা পেত। ২০২১-’২২ সালে শেষ বারের মতো কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেলেও তারপর থেকে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

    করিমপুর-১ ব্লকের মধুগাড়ি, হোগলবেড়িয়া, শিকারপুর, পিপুলবেড়িয়া, যমশেরপুর এবং হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা এবং করিমপুর-২ ব্লকের মুরুটিয়া, দীঘলকান্দি, নন্দনপুর, রহমতপুর ও নারায়ণপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এই প্রকল্পের আওতায় পড়ে। করিমপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আলাউদ্দিন মণ্ডল জানান, এলাকার রাস্তাঘাট ছাড়াও রাস্তার আলো, স্কুলের উন্নয়ন এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজও করা হতো। সেই সময় অর্থাৎ বছর চারেক আগে এই প্রকল্পে বেশকিছু কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু বরাদ্দ বন্ধ হওয়ায় অনেক কাজ এখন করা যাচ্ছে না। দীঘলকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, শুধুমাত্র এই পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর বিএডিপি প্রকল্পের প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা পাওয়া যেত। সেই টাকায় কয়েক বছরে অনেক রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। মানুষের যোগাযোগ ও যাতায়াত সহজ হয়েছে। কিন্তু গত চার বছর টাকা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। কারণ ৫০-৬০ লক্ষ টাকার মতো বড় বাজেটের কাজ মূলত বিএডিপি প্রকল্পের টাকায় করা হতো। পঞ্চায়েতের টাকায় বড় কাজ সম্ভব হয় না। 

    করিমপুর-২ বিডিও সুপপ্রতীক মজুমদার জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের অভ্যন্তরে ১০ কিমি এলাকার গ্রামগুলিতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পের টাকা খরচ হতো। সেক্ষেত্রে এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ, পানীয় জল, প্রাথমিক স্কুল কিংবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালের উন্নয়ন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতিতে খরচ করা হতো। করিমপুর-২ ব্লকের অধীন পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের অনেক কাজ বিএডিপির টাকায় করা হতো। এখন সেই টাকা না পাওয়ায় সমস্যা সমাধানে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দিয়ে কিছু কিছু কাজের চেষ্টা করা হচ্ছে।  প্রতীকী চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)