একদিকে যখন এসআইআর এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত থেকে শুরু করে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করেছেন শমীকবাবু। তখন বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে নির্বাচনী সংস্কার ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা ঠাকুর। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সভাকক্ষেই প্রতিবাদ করে বলেছেন, একটি বিষয় নিয়ে যখন সুস্থ এবং স্বাভাবিক আলোচনা চলছে, তখন বিরোধী এমপিদের বলতে না দিয়ে অযথা সরকার পক্ষের সাংসদরা বাধার সৃষ্টি করছেন। ঋতব্রত বলেন, বিজেপি বলার আগে বাংলায় কেউ কখনও হিন্দু ভোটার, মুসলমান ভোটারের কথা শোনেননি। এমন শব্দ বাংলার অভিধানেই ছিল না। ভোটারদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান টেনে এনে বিজেপি আদতে বাংলার বিভাজন করতে চাইছে। বলেন, বিজেপি নেতারা কীভাবে আগেভাগেই বলছেন, এক কোটি নাম বাদ যাবে? আমরা বললে এতদিনে কমিশন নোটিস ধরিয়ে দিত। অথচ এক্ষেত্রে কমিশন নীরবতা পালন করছে। মমতা ঠাকুর বলেন, মতুয়াদের ভুল পথে চালিত করে বিভ্রান্ত করছে কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী। যে ১১টি নথিপত্রের কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মতুয়াদের। এতে রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে ওঠে বিজেপি। এহেন প্রেক্ষিতেই রাজ্যসভার চেয়ারের হস্তক্ষেপ চান ডেরেক। এদিনের ভাষণে শমীকবাবু অবশ্য রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেছেন। আর তাই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে বলেছেন, ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীরা দেশের সংখ্যালঘুদের রুটি-রুজি কেড়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা-মুক্ত ভোটার তালিকা থাকা প্রয়োজন। ১২ রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। অথচ সমস্যা শুধুই বাংলায় হচ্ছে কেন? এদিন আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছেন শমীকবাবু।