জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সা পাহাড়ে বর্তমানে ১২-১৫ হেক্টরের মতো কমলালেবুর চাষ হয়। এই চাষের এলাকা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে দপ্তর থেকে ১০ হাজার কমলালেবুর চারা বিলি করা হয়েছিল বক্সার চাষিদের। যদিও সদ্য লাগানো ওই কমলালেবুর চারা গাছ থেকে তিন চার বছর পর ফল আসবে।
তবে এবছর খামখেয়ালি আবহাওয়ায় বক্সা পাহাড়ে কমলালেবুর ফলন অনেকটাই মার খেয়েছে। উদ্যান পালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক দীপক সরকার বলেন, কমলালেবুর মিষ্টি ও ফলনের সঙ্গে ঠান্ডা ও কুয়াশার একটা সম্পর্ক আছে। এবছর বক্সায় ঠান্ডা ও কুয়াশার প্রকোপ অনেকটাই কম। এই কারণেই বক্সার কমলালেবুর ফলনে এবার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। একইভাবে দায়ী সঠিক পরিচর্যার অভাবও।
বক্সা পাহাড়ের কমলালেবু আকারে একটু ছোট হয়। রং হয় হালকা সবুজ। তবে খুবই মিষ্টি। আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের ফ্লাইওভারের নীচে ট্রান্সপোর্ট বাজারের ফল ব্যবসায়ী অমর বিশ্বাস বলেন, জোগান কম। সেই জন্য বক্সার কমলালেবু আসছে না। তারজন্য ভুটানের কমলালেবুতে সমতলের বাজার ছেয়ে গিয়েছে। বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দা রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনম ডুকপা বলেন, বক্সার কমলা কী কারণে তার গরিমা হারাচ্ছে উদ্যান পালন দপ্তর তার কারণ খতিয়ে দেখুক।