মঙ্গলাহাট শীতের বাজার মাতাচ্ছে ‘খরগোশ ও হেডফোন টুপি’
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বড়দিনের আগে ভিন জেলার ক্রেতাদের ভিড় বাড়লেও তেমনভাবে অন্য রাজ্যের ক্রেতারা আসছেন না। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মঙ্গলাহাটের বিক্রেতারা। তবে সোমবার হাওড়ার মঙ্গলাহাটে কেনাকাটার ভিড় ছিল খুচরো বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীদের আশা দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আসন্ন পৌষ সংক্রান্তির মেলাগুলি শুরু হওয়ার খবর। সেখানকার ক্রেতাদের জন্য বছরের শেষে শীতকালীন বাজার খানিক জমবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এবার শীত পোশাকের চাহিদা অল্পবিস্তর রয়েছে। তবে ফ্যাশন মাতাচ্ছে ‘হেডফোন টুপি’ বা ‘খরগোশ টুপি’। তার ব্যাপক বিক্রি। জোগান দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
নভেম্বরে শীতবস্ত্র দেদার বিক্রি হয়েছে। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য চলতি মাসে শীতের বাজার ঝিমিয়ে পড়েছে বলে বক্তব্য হাওড়া ময়দান সংলগ্ন সমবায়িকা হাট, নবীন হাট, ফ্যান্সি হাট, মর্ডান হাট ও পোড়াহাটের বিক্রেতাদের। তবে বড়দিনের আগে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেখা না মিললেও খুচরো ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে। বিশেষ করে ফুটপাতে যে বিক্রেতারা মহিলা ও শিশুদের শীতপোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তাঁদের বিক্রি ভালো হয়েছে বলে জানালেন। মঙ্গলাহাটের ছোট ব্যবসায়ীদের কথায়, উলের পোশাক এবছর খুব কম বিক্রি হয়েছে। টুপি, মাফলার, মোজা ও হালকা জ্যাকেটের চাহিদা আছে। বাজার মাতাচ্ছে হেডফোন আর খরগোশ টুপি। শিশু ও মেয়েদের জন্য তৈরি এই বিশেষ টুপিতে লাইট ও সাউন্ড আছে। নীচের অংশ ধরে টানলে খরগোশের মত উঁচু হয়ে ওঠে কান। তাঁরা জানান, মূলত দিল্লি ও লুধিয়ানা থেকে আসছে এই টুপি। ২০০ টাকা দাম ছিল। এখন দাম বেড়েছে।
হাটের ব্যবসায়ীদের আশা, পৌষ সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষ্যে একমাস বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। সংক্রান্তির সময় বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরের গ্রামগঞ্জে ছোট-বড় একাধিক মেলা বসে। সেখানকার খুচরো কাপড় বিক্রেতারা জানুয়ারির শুরুতে হাটে আসবেন। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির (সেন্ট্রাল) সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, ‘গতবছরের তুলনায় বিক্রি কম। তবে শীত অনেকদিন থাকবে বলে আশা। তাই মনে হচ্ছে ব্যবসায়ীরা তাঁদের স্টক শেষ করতে পারবেন।’