এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট লাগোয়া পি কে গুহ রোডে শীতকালেও জল
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্বজিৎ মাইতি, বরানগর: যশোর রোড ও এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেটের সংযোগস্থলের রাস্তা যেন নরককুণ্ড। ভরা শীতেও নর্দমার জলে পা ভিজিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। শুধু নর্দমার জল নয়, খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়েও নাভিশ্বাসও উঠছে তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমদম পুরসভাকে বহুবার সমস্যার কথা জানালেও কোনও লাভ হয়নি। পুরসভা বলেছে, পূর্তদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান কবে হবে, তা হলফ করে বলতে পারছেন না কেউ।
দমদম পুর এলাকায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হল পি কে গুহ রোড। এই রাস্তা যশোর রোডের এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ২ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তা বর্তমানে চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য। এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট ও যশোর রোডের সংযোগস্থল কার্যত নরককুণ্ড। ওই জায়গায় রাস্তার দু’দিকে রয়েছে মন্দির ও মসজিদ। ফলে সেখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। এছাড়াও ১ নম্বর গেট থেকে দুর্গানগর ও গোরাবাজার পর্যন্ত অটো ও টোটোর দু’টি পৃথক স্ট্যান্ড রয়েছে। ওই জায়গায় জল থইথই অবস্থা। নর্দমা উপচে নোংরা জল চলে এসেছে রাস্তায়। বাইক ও চারচাকার গাড়ি গেলে তো কথাই নেই। সেই জল ছিটকে এসে লাগে পথচারীদের গায়ে। পথচারীরা ওই নোংরা জলে পা ভিজিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও বেহাল ছিল। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ্ত বিশ্বাস ও দেবদুলাল দত্ত বলেন, নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সব নর্দমাই উপচে গিয়ে নোংরা জল চলে আসছে রাস্তায়। ওই রাস্তার দু’পাশে ৫ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড। দু’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতাই এক। কিছুদিন আগে পুরসভারক তরফে রস্তায় রাবিশ ফেলা হয়েছিল। তাতে ওই জায়গায় জল না জমলেও আশপাশে জমছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। পুরসভাকে বহুবার জানালেও কোনও লাভ হয়নি। এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট। তিনি বলেন, ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পূর্তদপ্তরকে একাধিকবার বলা হয়েছে। মন্ত্রীর কাছেও দরবার করা হয়েছে। পুরসভার তরফে আমরা রাবিশ ফেলে কিছু জায়গা ঠিক করার চেষ্টা করেছি। কিছু জায়গায় নর্দমা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুনেছি, পূর্তদপ্তর দ্রুত রাস্তার কাজে হাত দেবে। রাস্তা ও নর্দমা দু’টিই নতুন করে তৈরি হবে। এই কাজে প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে। - নিজস্ব চিত্র