• ‘শিল্প বাঁচাও, গুন্ডামি হটাও’, শিল্পাঞ্চলে ডাক সিপিএমের
    আনন্দবাজার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • শিল্প পুনরুজ্জীবনের ডাক উঠে এল সিপিএমের ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’য়। প্রায় অন্তিম পর্বে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল ঢুকেছে ওই যাত্রা। নাগেরবাজার থেকে দিনের যাত্রা শুরু করে দমদম সেন্ট্রাল জেল, বিরাটি মোড় হয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সোমবার কাঁচরাপাড়া, হালিশহর দিয়ে শিল্পাঞ্চলে প্রবেশ করেছে বাইক মিছিল ও যাত্রা। পরে বারাসত ও আমডাঙা হয় অশোকনগরের দিকে এগিয়ে গিয়েছে যাত্রা। উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে একের পর এক কারখানা বন্ধ। সেই এলাকা দিয়েই সোমবার নৈহাটি, ভাটপাড়া, শ্যামনগর, ইছাপুর হয়ে যাত্রা পৌঁছেছিল ব্যারাকপুরে। যাত্রা ঘিরে শিল্পাঞ্চলে ভিড়ও চোখে পড়ার মতো।

    ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির সামনে সভা থেকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘শ্রমিকের কোনও ধর্ম হয় না। চা-বাগানের শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক ন্যায্য মজুরি পান না। এক দিকে বেকারি ও শ্রমিকদের উপরে শোষণ বাড়ছে, অন্য দিকে বাড়ছে মাফিয়া ও দুষ্কৃতী-রাজ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কারখানা, সরকারি সংস্থা না-থাকলে প্রান্তিক মানুষ বাঁচবে না। এরা সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছে কিন্তু একের পর এক সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হয় কিন্তু শিল্প হয় না! সরকার বদলাতে হবে, তবে যুবরা, শ্রমিকেরা বাঁচবেন।’’ তার আগে কাঁচরাপাড়ায় সভা থেকেও তোলাবাজি, গুন্ডারাজের ‘বিষ দাঁত উপড়ে ফেলা’র ডাক দিয়েছেন তিনি। নৈহাটিতে এ দিন চটকল শ্রমিক এবং সন্ধ্যার পরে আমডাঙায় একটি স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথোপকথন সেরেছেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। যাত্রার নানা পর্বে শামিল হয়েছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, সুমিত দে, আভাস রায়চৌধুরী, জেলা সম্পাদক পলাশ দাশ, সৃজন ভট্টাচার্য, অভিনেতা চন্দন সেন প্রমুখ। অশোকনগর থেকে শুরু করে আজ, মঙ্গলবার মতুয়া-গড়ে যাওয়ার কথা ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’র।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)