• শালবনি থেকে ২০০ কার্তুজ উদ্ধার, সিপিএম না মাওবাদীদের তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
    আনন্দবাজার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে পাওয়ার মতো অবস্থা। ইঁদুরের খোঁজে জমির আল খুঁড়তে গিয়ে বেরোলো কার্তুজ। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে কার্তুজ উদ্ধারের এই ঘটনায় তৃণমূল ও সিপিএম পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। প্রায় ২০০টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে শালবনি থানার পুলিশ।

    সকালে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন ইঁদুরের খোঁজে মাটি খুঁড়ছিলেন। তখনই বেরিয়ে আসে কার্তুজ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। জেলা পুলিশ কর্তাদের দাবি, উদ্ধার হওয়া কার্তুজগুলি অনেক পুরনো এবং নিষ্ক্রিয়।

    তৃণমূলের অভিযোগ, ওই আলের পাশেই এক সিপিএম কর্মীর জমি। সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীই এই সবগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। পাল্টা সিপিএম নেতাদের দাবি, তৃণমূলের তৎকালীন ‘বন্ধু’ মাওবাদীরাই কার্তুজগুলি মাটির নীচে রেখেছিল।

    এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কিছু পুরনো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’ শালবনি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭৯টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ১২২টি দেশি একনলা বন্দুকের ও ৫৭টি এসএলআর-এর।

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন, ‘‘যে জমির আল থেকে কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে সেখানে সিপিএম নেতা শুকদেব সিংহের জমি আছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১০-১১ সালে কাশীজোড়ার এই সমস্ত এলাকা থেকে বহু মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে কঙ্কালও পাওয়া গিয়েছে। সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীই এই সমস্ত খুন-হত্যা করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের দেখা উচিত।’’ পাল্টা সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল বলেন, ‘‘মাওবাদীদের চুক্তির ভিত্তিতে এনেছিল তৃণমূল। সেই মাওবাদীরাই জঙ্গলমহলের হাজার হাজার সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের খুন করেছে। তারপর কাজের সময় কাজি আর কাজ ফুরোলেই কিষেনজি হয়েছে।বাংলার সমস্ত মানুষই তা জানেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কার্তুজগুলি এই তৃণমূল আমলেরই কি না, তা-ও পুলিশের সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখা উচিত।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)