• বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীই বল্লম ছোড়ে, ট্রলারকে ধাক্কা মারে, অভিযোগ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের
    বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাংলাদেশি উপকূল রক্ষী বাহিনীর জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সোমবার ভোরে ডুবে যায় একটি ভারতীয় ট্রলার। ১৬ জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে পড়ে যান। আশপাশে থাকা অন্যান্য ট্রলার ১১ জনকে উদ্ধার করলেও বাকি পাঁচজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই তথ্যই গতকাল, সোমবার রাত পর্যন্ত জানা গিয়েছিল। কিন্তু উদ্ধার হওয়া ওই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা নতুন তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের মধ্যে একজন মৎস্যজীবীকে বল্লম ছুড়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশি উপকূল রক্ষী বাহিনী। এমনটাই অভিযোগ।এমনকি ট্রলারে থাকা ১৬ জন মৎস্যজীবীকেই মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা বলেন, সোমবার ভোরে দুই দেশের আন্তর্জাতিক জল সীমানার কাছাকাছি মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময়ে হঠাৎই বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী জাহাজ নিয়ে এগিয়ে আসে। কোনও কথা না বলে ট্রলারের হাল ধরে রাখা মৎস্যজীবীকে বল্লম ছুড়ে মারে। বল্লমটি মৎস্যজীবী রাজদুল আলি শেখের শরীরে বিঁধে যায়। তারপরেই তিনি নদীতে পড়ে যান। অভিযোগ, এরপর বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী ট্রলারটিকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ বাদে জাহাজ ঘুরিয়ে নিয়ে তাঁরা চলে যায়। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।ট্রলার ডোবার খবর মৎস্যজীবী পরিবারের কাছে আসতেই সদস্যরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। কোথায় আছেন বাকি পাঁচজন সেটাই এখন বড়ো প্রশ্ন। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে, দুই দেশের আন্তর্জাতিক জল সীমানার কাছাকাছি ভারতীয় ট্রলারগুলি মাছ ধরছিল। সেই সময় বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী জাহাজের আলো নিভিয়ে ওই এলাকায় এসেছিল। জাহাজের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে ভাসছিলেন। বাংলাদেশের জাহাজটি তাঁদের না বাঁচিয়ে চলে যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)