• পোস্তার পিশাচ প্রেমিক! দুপুর ১২টা, ফ্ল্যাটেই আলুথালু শিখাকে কোপাচ্ছে ভিকি, তারপর বহুতলের বারান্দা থেকেই...
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অয়ন শর্মা:  প্রেমিকাকে চুরি দিয়ে কুপিয়ে, তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিল প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে, পোস্তা থানার অন্তর্গত ৯ নম্বর শিব ঠাকুর লেনে। পুলিস সূত্রে খবর,আজ সকাল দুপুর ১২ টা নাগাদ, ভিকি শর্মা নামে বছর ৪০ এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে কোপায় তার প্রেমিকা শিখা সিঙকে। এরপর তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।

    কেন এ ধরনের ঘটনা?

    আগেই শিখার স্বামী দীপু সিঙের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ভিকি ও শিখার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, মাঝে মাঝেই শিখা ও ভিকির মধ্যে ঝামেলা হত। বাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ করত। স্থানীয় মানুষজন এর প্রতিবাদও করে। এরপর আজ দুপুর বারোটা থেকে দুজনের মধ্যে বচসা তৈরি হয়। তখনই ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় শিখা সিঙকে। 

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পোস্তা থানার পুলিস, জখম শিখাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, হঠাত্‍ই পড়ে যেতে দেখে এক ব্যক্তিকে। পরে জানতে পারেন ভিকি ছুরি মেরে ঝাঁপ দেয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি ভিকির মৃত্যু হলেও শিখা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে।

    এর আগে, অক্টোবরে দিল্লিতে প্রকাশ্য গর্ভবতী মহিলাকে কুপিয়ে খুন করে প্রেমিক। তারপর স্ত্রীর খুনের বদলা নিতে খুনি প্রেমিকের ওই অস্ত্র দিয়েই মেরে ফেলল স্বামী। জানা গিয়েছে, ২২ বছরের শালিনী একজন গৃহবধূ ছিলেন। এবং দুই কন্যাসন্তানের মাও।  শালিনীর স্বামী ২৩ বছরের আকাশ, যিনি পেশায় একজন ই-রিকসা চালক। এখন তিনি হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। 

    ঘটনার সূত্রপাত:

    শালিনী ৩৪ বছরের আশু ওরফে শৈলেন্দ্র, একজন স্থানীয় অপরাধীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আশুর দাবি, শালিনী তাঁর সন্তানসম্ভবা। কিন্তু শালিনী তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তে আশু শালিনীর উপর রেগে যান।

    ১৮ অক্টোবর রাতে আকাশ এবং শালিনী দিল্লির কুতুব রোডে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে আচমকাই হাজির হয় আশু। আকাশকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। কিন্তু আকাশ যেভাবে হোক সেই আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু তারপরই আশুর নজর যায় শালিনীর উপর, তিনি তখন ই-রিকসায় বসেছিলেন। শালিনীর কাছে গিয়ে আশু তাঁকে একাধিকবার ছুরি কোপ বসায়।

    স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আকাশও আহত হয়। কিন্তু শালিনীকে বাঁচাতে পারেননি। তবে আশুকে কাবু করতে সক্ষম হয়। আকাশ আশুর হাতে ছুরি কেড়ে, তাকে খুন করে।

    শালিনীর ভাই রোহিত তত্‍ক্ষণাত্‍ তাকে এবং আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে পুলিসও আশুকে একই হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে শালিনী এবং আশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিস (সেন্ট্রাল) নিধিন ভালসান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আকাশের একাধিক ছুরিকাঘাত হয়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।

    শালিনীর মা শীলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    শীলা জানান, কয়েক বছর আগে শালিনী ও তার স্বামী আকাশের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সময় শালিনীর আশুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এমনকী তারা কিছুদিন একসঙ্গে থাকেও। পরে শালিনী ও আকাশের মধ্যে আবার সব ঠিক হয়ে হয় এবং তারা দুই সন্তানকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)