টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: নির্ভুল তথ্য প্রকাশিত হবে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে জোরালো দাবি করা হয়েছিল। এনুমারেশন ফর্মপূরণ করার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন তিনি। এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হল মঙ্গলবার। এলাকার কারও কোনও ভুল আসেনি। কিন্তু তাঁর নামের ক্ষেত্রে সেই একই ভুল! খসড়া ভোটার তালিকাকেও যুবকের নামের পাশে রয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার ছবি! এর আগে একাধিকবার এই ভুল সংশোধন করার জন্য আবেদন করলেনও তা সংশোধন হয়নি। এবারও একই ভুল থাকায় হতাশ ও বিরক্ত ওই যুবক। সব থেকে বড় কথা ঘটনাটি ঘটেছে খোদ বিএলওর দাদার সঙ্গে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ায়।
বাঁকুড়া বিধানসভার ৭০ নম্বর বুথের বাসিন্দা রাজু দে। খসড়া তালিকায় রাজু দে-র নাম, পিতার নাম, বয়স ও লিঙ্গ- এইসব তথ্যই ঠিক রয়েছে। তবে ছবিতে গরমিল রয়েছে। তাঁর ছবির জায়গায় রয়েছে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার ছবি! আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, গত বেশ কয়েকটি ভোটে যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলির প্রত্যেকটিতে রাজু দে-র নামের পাশে ওই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার ছবি দেখা গিয়েছিল। একাধিকবার সেই ভুল সংশোধন করার জন্য আবেদনও করা হয়েছিল। তাও ছবি বদল হয়নি! এসআইআর প্রক্রিয়ার খসড়া তালিকায় সেই সংশোধন হবে। এমন আশা করেছিলেন রাজু। কিন্তু এদিন ওই তালিকা প্রকাশ হলেও দেখা গেল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি!
সব থেকে বড় কথা রাজুর ভাই ওই বুথেরই বিএলও জগবন্ধু দে। তিনিও ঘটনা দেখে হতবাক। জগবন্ধু বলেন, “দাদা কাজের সূত্রে অন্য জেলায় রয়েছেন। অন্যান্য ভোটারের মতো তিনিও গণনাপত্রে সঠিক তথ্য ও নিজের ছবি জমা দিয়েছিলেন। বিএলও হিসেবে আমি নিজে সেই তথ্য যাচাই করেছি এবং কমিশনের পোর্টালে ডিজিটাইজ করেছি। আমার তরফে কোনও ভুল হয়নি। তবু খসড়া তালিকায় দাদার নামের পাশে এই ছবি এল কীভাবে, বুঝতে পারছি না।”
এই ত্রুটির জেরে ভোটদানের সময় সমস্যা তৈরি হবে কি? তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় ওই পরিবার। জগবন্ধুর কথায়, “এখন দাদাকে আবার সংশোধনী ফর্মপূরণ করে ছবি সংক্রান্ত ত্রুটি ঠিক করতে হবে।” এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। গোটা বিষয়টিতে হতাশ রাজুও। তিনি বলেন, “জানি না, কী করলে এই ভুল সংশোধন সম্ভব হবে।”