আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকাশিত হয়েছে এসআইআর-এর খসড়া তালিকা। বাংলায় বাদ পড়েছেন ৫৮ লাখের বেশি ভোটার। সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সবচেয়ে কম নাম বাদ পড়েছে কালিম্পংয়ে।
একনজরে পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় কত নাম বাদ পড়ল?
১ কোচবিহার - ১১৩৩৭০২ জলপাইগুড়ি - ১৩৩১০৭৩ দার্জিলিং - ১২২২১৪৪ উত্তর দিনাজপুর - ১৭০৫৫০৭ ৫ দক্ষিণ দিনাজপুর - ৮০৯৮৪ ৬ মালদহ - ২০১৮৭৩৭ মুর্শিদাবাদ - ২৭৮৮৩৭৮ নদিয়া - ২১৬৬২৩৯ উত্তর ২৪ পরগনা - ৭৯২১৩৩১০ দক্ষিণ ২৪ পরগনা - ৮১৮৪৩২১১ কলকাতা উত্তর - ৩৯০৩৯০১২ কলকাতা দক্ষিণ - ২১৬১৫০১৩ হাওড়া - ৪৪৪৩৭১১৪ হুগলি - ৩১৮৮৭৪১৫ পূর্ব মেদিনীপুর - ১৪১৯৩৬ ১৬ পশ্চিম মেদিনীপুর - ২০৩৩৪১১৭ পুরুলিয়া - ১৮৩৪১৬১৮ বাঁকুড়া - ১৩২৮২১১৯ পূর্ব বর্ধমান - ২০৮০৭৫২০ বীরভূম - ১৭৮৮৭৬২১ আলিপুরদুয়ার - ৯৫২৮৬২২ কালিম্পং - ১৭৩৩১২৩ ঝাড়গ্রাম - ৫২৭৮৬২৪ পশ্চিম বর্ধমান - ৩০৬১৪৬
খসড়া ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কি না, সাধারণ মানুষ কীভাবে জানবেন?
জানার উপায় রয়েছে অনলাইন, অফলাইন দু'ভাবেই।
Advertisement
অফলাইনে কীভাবে জানবেন?
জানা যাবে বিএলও'দের কাছে। অর্থাৎ এই এনুমারেশন পর্বে যেসকল বিএলও ফর্ম পূরণের কাজ করলেন, তাঁদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকার হার্ড কপি। তাঁদের কাছে গিয়ে, ওই নির্দিষ্ট বুথের ভোটাররা যাচাই করে নিতে পারবেন, এনুমারেশন পর্বের শেষে, রাজ্যের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম উঠল কি না। হার্ড কপি থাকবে বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ'দের কাছেও। এছাড়া, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর, এই রাজ্যের স্বীকৃত আটটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের হাতে খসড়া ভোটার তালিকার সফট কপি দিয়ে দেবে, সূত্রের খবর তেমনটাই। তবে যাঁরা অনালাইন মাধ্যমে সড়গড়, তাঁরা অনলাইনে, ঘরে বসেই, মোবাইল ফোন কিম্বা কম্পিউটার থেকেই দেখে নিতে পারবেন নিজেদের নাম রইল কি না তা।
অনলাইনে কীভাবে জানবেন?
অনলাইনে খসড়া ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম রয়েছে কি না জানা যাবে,
eci.gov.in
https://www.eci.gov.in/electoral-roll
ceowestbengal.wb.gov.in
https://ceowestbengal.wb.gov.in/SIR-এ গিয়ে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কিংবা সিইও ওয়েস্ট বেঙ্গলের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানা যাবে।
কীভাবে জানবেন?
eci.gov.in-এ গিয়ে, 'সার্চ ইয়োর নেম ইন ই-রোল' অপশনে ক্লিক করলেই খুলে যাবে একটি পেজ। তাতে নিজের এপিক নম্বর দিয়ে, ডান দিকের বক্সে রাজ্যের নাম সিলেক্ট করতে হবে। নীচে ক্যাপচা কোড এর জায়গায় কোড দিয়ে, ঠিক তার নীচেই সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই দেখতে পাবেন তাঁদের নাম রয়েছে কি না। নাম খসড়া ভোটার তালিকায় থাকলে ভোটারের নাম, আত্মীয়ের নাম, বয়স, লিঙ্গ, এপিক নম্বর, রাজ্য, সংসদীয় এলাকা, বিধানসভা, পোলিং বুথ স্টেশন-সহ একাধিক তথ্যের পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন ভোটাররা।
যদি কারও নাম না থাকে খসড়া ভোটার তালিকায়, কী করতে হবে সেক্ষেত্রে?
সেক্ষত্রে তাঁকে ফর্ম ৬-এ আবেদন জানাতে হবে। তারপর তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে শুনানি হওয়া পর্যন্ত।
কীভাবে জানা যাবে, কাদের নাম নেই তালিকায়?
ceowestbengal.wb.gov.in/asd_sir-এ গিয়ে জানা যাবে, যাঁদের নাম ২০২৫ এর তালিকায় ছিল কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তাঁদের নাম।
যাদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের কী কী করণীয়?
শুনানি এবং নোটিস পর্ব
Advertisement
খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুনানির নোটিস জারি করা শুরু করবে কমিশন। নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে কমিশন নোটিস জারি করতে পারে। তা পৌছে দিতে পারেন বিএলও-রা। নোটিশ জারি করার পর শুনানির জন্য নথি যাচাই করে দেখার জন্য প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় এক জন ইআরও এবং ১০ এইআরও দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিদিন ১০০ জন করে প্রত্যেক ঘরে শুনানি হবে। অর্থাৎ, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একদিনে ১১০০ জনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা সম্ভব না হলে অন্য দিন ধার্য করা হবে।
প্রয়োজনে দৈনিক শুনানির সংখ্যা বাড়তে পারে। তাহলে আধিকারিকে সংখ্যা বাড়বে। জেলাশাসক, এসডিও এবং বিডিও অফিসে শুনানি হবে। শুনানি কেন্দ্রে নিযুক্ত হতে পারেন মাইক্রো-অবজারভার।
শুনানির আওতায় কারা
এসআইআর ‘ম্যাপিং’য়ে না থাকা প্রায় ৩১ লক্ষ ভোটার নোটিস পাবেনই। পুনরায় যাচাই করা হবে এমন ভোটারের সংখ্যা হল মোট ১.৬৭ কোটি। এর মধ্যে একটি বড় সংখ্যা শুনানির নোটিস পেতে পারেন। নাম ভুল সংক্রান্ত বিষয়ে ডাক পড়বে না। তবে একাধিক ব্যক্তির বাবা-মায়ের একই নাম এবং বাবা বা ঠাকুরদার সঙ্গে বয়সের ব্যবধানে মিল খুঁজে না পাওয়া গেল ডাকা হবে শুনানিতে। নির্দিষ্ট প্রশ্ন হবে শুনানিতে। কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১৩টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে।
দাবি এবং আপত্তি জানানো যাবে কীভাবে?
১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কেউ এবং রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ বা দাবি বা আপত্তি জানাতে পারবে। কোনও কারণে খসড়া তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে ১৬ ডিসেম্বর থেকেই আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে নতুন ভোটারের আবেদনপত্র (ফর্ম-৬) ভরতে হবে। অনলাইনে নাম বাদ দিতে ফর্ম-৭ এবং তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম-৮ ভরতে হবে।
সোমবার কমিশন জানিয়েছিল, রাজ্যের খসড়া তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে ৫৮.২০ লক্ষ নাম। যদিও তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। বাতিল হওয়া নাম ছাড়া খসড়া তালিকার ভোটার সংখ্যা হল সাত কোটি আট লক্ষ। \