জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৩ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে SIR-এর হিয়ারিং। খবর কমিশন সূত্রে। এখন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর, যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মেলানো যায়নি, তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হবে। যদি আপনার নাম খসড়া ভোটার তালিকায় না থাকে, তাহলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি একজন ভারতীয় নাগরিক এবং যোগ্য ভোটার।
এখন খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে নিজেকে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং যোগ্য ভোটার প্রমাণ করতে কিছু নথি জমা দিতে হবে। কোন কোন নথি? চলুন আরও একবার জেনে নেওয়া যাক।
মোট ১১টি নথি গ্রহণযোগ্য হবে। কী কী?
১) রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী অথবা পেনশনভোগী হিসেবে পরিচয়পত্র
২) ১৯৮৭ সালের আগে পোস্ট অফিস, ব্যাংক, এলআইসি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নথি
৩) জন্ম শংসাপত্র
৪) পাসপোর্ট
৫)মাধ্যমিক বা অন্য যে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র
৬) রাজ্য সরকারের অধীন কোনও সংস্থার দেওয়া আবাসিক শংসাপত্র
৭) ফরেস্ট রাইটসের শংসাপত্র
৮) জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট
৯) ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (NRC) — শুধুমাত্র আসামের ক্ষেত্রে
১০) স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা পারিবারিক রেজিস্টার
১১) সরকারের দেওয়া জমি লিজ বা বাড়ি লিজ সংক্রান্ত শংসাপত্র
শুধুমাত্র আধার কার্ড এক্ষেত্রে একক পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
যদি এমন হয়, খসড়া ভোটার তালিকাতেও নাম নেই আবার শুনানির জন্যও ডাকা হয়নি! তাহলে কী করবেন?
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আপনাকে ফর্ম ৬-এর Annexure-IV পূরণ করে জমা দিতে হবে।
যদি আপনার নাম ২০০২ সালের SIR তালিকায় থাকে, তবুও কি আপনাকে শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে?
নির্বাচন কমিশনের মতে, এটি সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-এর বিবেচনার উপর নির্ভর করবে।
কেউ যদি ভুয়ো নথি জমা দেন, তাহলে কী শাস্তি হবে?
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৩৩৭ অনুযায়ী, কেউ নথি জাল করলে তার সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি ফর্ম কমিশনের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ভোটারের দেওয়া সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে তবেই ঠিক করা হবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানির জন্য ডাকা হবে কি না। আগে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে দিনে সর্বোচ্চ ৫০টি শুনানি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এখন কমিশন সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করতে প্রয়োজনে দিনে একশোর বেশিও শুনানি হতে পারে।