শ্রীকান্ত ঠাকুর: স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি মেটাতে সালিশি সভা বসেছিল বাড়িতে। সভা শেষ হতেই শাশুড়ির উপর হামলা চালাল জামাই! আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলা ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম আফজল হোসেন মণ্ডল। বাড়ি, কুমারগঞ্জ থানার দিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়লই গ্রাম। প্রায় ১৩ বছর আগে বিয়ে করেন আফজল। বড় মেয়ের বয়স এখন ১৩, আর ছোট মেয়ের ৫। স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন আফজল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। শুধু তাই নয়, স্বামীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করেও নাকি অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল!
আফজলের স্ত্রীর দাবি, তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মারধর করে কেড়ে নিয়েছেন সোনার গয়নাও। রবিবার রাতে সালিশি সভা বসেছিল ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে। সেই সভা হাজির ছিলেন আফজলের শ্বশুর ও শাশুড়িও। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনাতেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে অভিযোগ।
এদিকে রাত হয়ে যাওয়ার মেয়ের বাড়িতেই থেকে যান আফজলের শ্বাশুড়ি তসলিমা বিবি। অভিযোগ, রাতে তসলিমাকে বেধড়ক মারধর করেন জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। বুকে ও গলা ছুরি চালিয়ে খুনেরও চেষ্টা করা হয়। চিত্কার শুনে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে প্রতিবেশী রিয়াজুল মণ্ডল ও পিয়ার আলি আহমেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হয়ে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।সোমবার রাতে অভিযুক্ত আফজল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের স্বামী। আলাদাভাবে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার গৃহবধূও।
এর আগে, মালদায় রক্ত ঝরেছিল সালিশি সভা। জমিতে বিবাদে সভা চলাকালীন খুন হয়ে যান জমির মালিক। জমি নিয়ে পুরনো গন্ডগোল মেটাতে সালিশি সভা বসেছিল কালিয়াচক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর এলাকায়। অভিযোগ, সেই সালিশি সভায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সকলেই সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় জমির মালিক। গুরুতর জখম হন বাবা ও ছেলে-সহ ৬ জন।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম একরামুল শেখ। কালিয়াচকের রাজনগর কয়েক বিঘা জমি রয়েছে তাঁর নামে। ঠিক পিছনেই সামসুলের ধানের জমি। অভিযোগ, একরামুলের জমির রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে য়াতায়াত করতেন সামসুল। তাই নিয়ে গন্ডগোল। এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্য়ে হাতাহাতিও হয়। এরপরই সালিশি সভা বসে গ্রামে।