শ্রেয়সী গাঙ্গুলি: SIR-এর খসড়া ভোটার তালিকায় বন্দর এলাকা থেকে বাদ গিয়েছে ৬৬ হাজার নাম। কিন্তু নাম বাদ গেলেও, বন্দর এলাকায় বিজেপির এমন কেউ জন্মায়নি, যে কিনা ফিরহাদ হাকিমকে হারাতে পারে! রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, আজ খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ ড্রাইভ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সমস্ত কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকায় প্রচার করতে। যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি যেন তাঁর নাম তালিকায় আছে কিনা তা এসে নির্দিষ্ট স্থানে দেখে যান। আর তারপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, বন্দর এলাকায় নাম বাদ গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বন্দর এলাকায় বিজেপির এমন কেউ জন্মায়নি, যে নাকি ফিরহাদ হাকিমকে হারাতে পারে!
প্রসঙ্গত, এদিন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে কমিশন বলে, বড় স্টেটের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ-ই একটা স্টেট যারা টাইমের মধ্যে কাজ কমপ্লিট করেছে। বাকিরা অতিরিক্ত টাইম চেয়েছে। ফাইনাল লিস্ট বেরোনোর পরেও কেউ যদি সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি ডিএম এর কাছে অ্যাপিল করতে পারেন। তারপরেও সন্তুষ্ট না হলে সিইও এর কাছে অ্যাপিল করতে পারেন। ERO-কে DEO এর সমান পাওয়ার দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
কমিশন আরও জানায়, হিয়ারিং-এর সময় বাড়ানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম উইক পর্যন্ত হবে হিয়ারিং। মোট আনকেলেক্টেবেল ফর্ম ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৮৯৯। ৭ দিন পর থেকে হিয়ারিংয়ের নোটিস দেওয়া হবে। হিয়ারিংয়ে শুনানির পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল লিস্ট বেরবে। কমিশন আরও জানিয়েছে, যাদের লিস্টে নাম নেই, তাদের ফর্ম ৬ ফিলআপ করে জমা দিতে হবে নতুন ভাবে নাম তোলার জন্য। তারজন্য হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে। ফর্ম ৬-এ তিনটি ক্যাটেগরি আছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৭,০৮,১৬,৬৩১। SIR-এর আগে ছিল ৭,৬৬,৩৭,৫২৯ জন ভোটার। কমিশন জানিয়েছে, অধিকাংশ নাম বাদ পড়েছে “সংগ্রহ অযোগ্য এসআইআর গণনা ফর্ম”-এর কারণে। সবচেয়ে বেশি আনকালেক্টেবল ফর্ম কলকাতা উত্তরে। আর সবচেয়ে কম পূর্ব মেদিনীপুরে। বিধানসভা ভিত্তিক দেখতে গেলে প্রথম ১০ বিধানসভার মধ্য়ে জোড়াসাঁকো সবচেয়ে বেশি। তারপর রয়েছে চৌরঙ্গী, কলকাতা পোর্ট, বালিগঞ্জ, কাশীপুর।