• যুবভারতীর ঘটনায় প্রথম মুখ খুললেন অভিষেক, বিরোধীদের তোপ দেগে মনে করালেন কুম্ভ-দিল্লির পদপিষ্টের ঘটনা
    এই সময় | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে বারে বারে আক্রমণে বিদ্ধ করছে বিরোধীরা। ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা সরব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    যুবভারতীর ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা অভিষেক বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তার এক ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে পুলিশ অফিসার, আয়োজকের শীর্ষ কর্তা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’

    বিজেপি-র পাল্টা মঙ্গলবার দিল্লিতে সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘বাংলায় যে ঘট‍না ঘটেছে, তার এক ঘণ্টার মধ্যে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কুম্ভমেলায় বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরে যোগী আদিত্যনাথ কি ক্ষমা চেয়েছিলেন?’ তাঁর ব্যাখ্যা, বিজেপির মানুষের কাছে ‘নত হওয়ার সাহস নেই’। সে কারণেই বার বার ভোটে হারে এবং তৃণমূল জয়ী হয়।

    ‘রাজধর্ম’ পালনের ক্ষেত্রে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তফাত রয়েছে, তা বোঝানোর জন্য এ দিন অভিষেকের মন্তব্য, ‘ঝুঁকতা তো উওহি হ্যায়, জিসমে জান হ্যায়। অকড় তো মুরদো কি পহেচান হ্যায়। কুম্ভে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল? গ্রেপ্তারি তো বাদ দিন, একটা ক্ষমা পর্যন্ত কেউ চেয়েছিলেন?’ নয়াদিল্লির পদপিষ্টের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনেও বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কালো টাকা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ৫০ দিনের মধ্যে কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে না পারলে যে কোনও শাস্তি মাথা পেতে নেবেন বলে দাবি করেছিলেন। দশ বছর পার হয়ে গিয়েছে, কালো টাকা কি ফিরেছে?’ অভিষেকের মতে, ‘যাঁরা নিজেরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেন না, তাঁদের তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার অধিকার নেই।’

    উল্লেখ্য, যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দিনেই গ্রেপ্তার করা হয় মেসির অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্তকে। ইতিমধ্যেই ক্রীড়ামন্ত্রী পদ থেকে অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে।

    যুবভারতী কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে শো কজ় করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারকেও শো কজ় করা হয়েছে। বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন এই তদন্ত চলবে, ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।

  • Link to this news (এই সময়)