বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি অনুপ্রবেশকারী পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছে বলে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির। এই নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে তাল ঠোকাঠুকি চলছে। তার মধ্যেই ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন সীমান্তে, কত জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার হিসাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তে অনুপ্রবেশের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ করা সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তে মোট ২৩,৯২৬ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেই গ্রেপ্তারির সংখ্যা সর্বাধিক।
তৃণমূল সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া এবং শর্মিলা সরকারের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। পাশাপাশি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হিসাবও দেওয়া হয়েছে আলাদা ভাবে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান এবং নেপাল–ভুটান সীমান্তে মোট ২০,৮০৬ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আটক করা হয়েছে আরও ৩,১২০ জন অনুপ্রবেশকারীকে।
সর্বাধিক ১৮,৮৫১ জন অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে। এর পরেই রয়েছে ভারত–মায়ানমার সীমান্তে ১,১৬৫ জন, ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে ৫৫৬ জন এবং নেপাল–ভুটান সীমান্তে ২৩৪ জন।
২০২৫ সালের মাসিক পরিসংখ্যানেও একই ছবি উঠে এসেছে। এই সময়ে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে ২,৫৫৬ জন, ভারত–মায়ানমার সীমান্তে ৪৩৭ জন, ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে ৪৯ জন এবং ভারত–নেপাল–ভুটান সীমান্তে ৭৮ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে ২০২৫ সালেও ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়নি বলে জোরের সঙ্গে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।