মথুরা: উত্তরপ্রদেশে ধোঁয়াশার কারণে পথ দুর্ঘটনা অব্যাহত। মঙ্গলবার ভোররাতে মথুরায় বাস-গাড়ির সংঘর্ষে প্রাণ গেল ১৩ জনের। জানা গিয়েছে, কয়েকটি বাস ও গাড়ির ধাক্কায় ভয়াবহ আগুন লাগে। তাতেই জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৩ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে আগ্রা থেকে নয়ডা যাওয়ার রাস্তায় দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোট ৮টি বাস ও কয়েকটি ছোট গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছিল। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। গুরুতর আহতদের ইতিমধ্যেই আগ্রা ও দিল্লিতে রেফার করা হয়েছে। মথুরার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ শ্লোক কুমার জানিয়েছেন, রাস্তায় দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা। যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ ওই রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ ছিল। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিষ্কার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দগ্ধ দেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এখনও অবধি মাত্র তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গিয়েছে। মথুরার অতিরিক্ত জেলাশাসক অমরেশ কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা শাসক চন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। দুদিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তাদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে। মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
ধোঁয়াশার কারণে দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের বড় অংশে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য। তার জেরে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। স্রেফ মথুরাই নয়, দূষণজনিত কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়েই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দূষণজনিত কারণে হওয়া দুর্ঘটনায় মোট ২৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। আহত অন্তত ৫৯ জন।